যৌথ বাহিনীর হেফাজতে চাঁদাবাজি মামলার আসামি যুবদল নেতা আসিফ শিকদারের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় আট পুলিশ-সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা স্বপ্না বেগম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামিরা হলেন রাজধানীর শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মতিউর রহমান, ডিএমপির দারুসসালাম জোনের এসি এমদাদুল হক, এডিসি জাকারিয়া, ডিএমপির মিরপুর ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সায়েন্সল্যাব সেনাক্যাম্পের মেজর মুদাব্বির, ক্যাপ্টেন তাম্মাম ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সিরাজ, আবুল কালাম আজাদ লেলিন, খলিল ও ফরিদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে যে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ২টার দিকে পুলিশের পোশাকে ২৫-৩০ জনের একটি যৌথ বাহিনী শাহ আলী থানার ওসির পরিচয়ে বাদীর বাসায় হানা দেয়। তারা ঘর তছনছ করে এবং তার ছেলে আসিফ শিকদারকে চড়থাপ্পড় মেরে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ফজরের সময় পরিবারের কাছে খবর আসে, আসিফের কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন কাপড় পাঠাতে হবে। এরপর বাদী ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে লোকমুখে তারা জানতে পারেন, আসিফ যৌথ বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন। নিহতের পরিবার বলছে, পুলিশি নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুরে ৩০ রাউন্ড গুলিসমেত আসিফ শিকদারসহ যুবদলের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করে যৌথ বাহিনী। আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আসিফের মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শাহ আলী থানা ঘেরাওয়ের মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মিরপুর মডেল থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে বের হয়েছেন। আসিফ শিকদার শাহ আলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রদল নেতা।