সিরিশ কাগজের আমদানি মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি ও টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য পর্যালোচনা করে আমদানীকৃত সিরিশ কাগজের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
এর আগে মিথ্যা ঘোষণায় সিরিশ কাগজ আমদানির অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২২ মে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাঈম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান। ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববাজারে গত ১০ বছরে সিরিশ কাগজের দাম ৫ গুণ বেড়েছে।
অথচ আরিস্তা বাংলাদেশ, আহনাফ ট্রেডিং, অ্যাব্রেসিভ সলিউশন, খাজা ট্রেডার্স, এআরজেড ট্রেডার্স, মাসউদ অ্যান্ড ব্রাদার্স, এশা ট্রেডিংসহ আরও প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় সিরিশ কাগজ আনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ১৮ মে নোটিস পাঠানো হয়।’ নোটিসের জবাব না পেয়ে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।