এখন থেকে সাড়ে আঠারো বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে নিবন্ধ লিখেছিলাম ‘তারেক রহমান কেন ওদের টার্গেট’ শিরোনামে। তখন দেশে জরুরি অবস্থা চলছিল। অর্থাৎ ফখরুদ্দীন-মইন ইউর আধাসামরিক শাসনের সময়। সে সময় দেশের কয়েকটি সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চলছিল। জনসমক্ষে তাঁকে ভিলেন বানানোর সে প্রচেষ্টা দেশবাসীকে বিস্মিত করলেও ওয়ান-ইলেভেন সরকারের নির্যাতনের ভয়ে কেউ-ই তেমন মুখ খোলেনি। খোলার উপায়ও ছিল না। এদিক-সেদিক কিছু লিখলে বা বললেই বিশেষ এক জায়গা থেকে ‘চায়ের দাওয়াত’ আসত। সে চায়ের কী স্বাদ তা যারা দাওয়াত পেয়ে পান করছেন তারাই জানেন। আমি তখন বিএনপির মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক দিনকালের সহকারী সম্পাদক। তারেক রহমানের সঙ্গে পরিচয় ও কাছ থেকে তাঁকে অবলোকনের সুবাদে সেসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কলম ধরার তাগিদ অনুভব করলাম।
জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। আর আমার নিবন্ধটি দৈনিক দিনকালে বেরোয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। সম্ভবত ওয়ান-ইলেভেনের পর তারেক রহমানের পক্ষে সেটাই ছিল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম নিবন্ধ। উল্লিখিত নিবন্ধে আমি মন্তব্য করেছিলাম ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, যে রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন, অতন্দ্র প্রহরী হয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষায় দৃঢ়তার সঙ্গে জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবা বাংলাদেশকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস পেয়েছেন, তিনিই পরিণত হয়েছেন ওই চিহ্নিত গোষ্ঠীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে। তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার কাজ করছে।’ (দৈনিক দিনকাল, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭)। নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই আমাকে সতর্ক করেছিলেন, এ কারণে জুলুম-নির্যাতনের কবলে পড়তে পারি। কেউ কেউ বলেছিলেন, এভাবে খোলা হাতে না লিখতে। তবে আমি ভীত হইনি বা দমে যাইনি। তারপরও বেশ কিছু নিবন্ধে আমি বন্দি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলেছি। সেজন্য কী কী বাধা বা হুমকির সম্মুখীন হয়েছি এবং তা কীভাবে মোকাবিলা করেছি, সেসব প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
আজ এত দিন পর ঠিক সে নিবন্ধের কাছাকাছি শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পড়েই অতীতের কথাগুলো মনে পড়ল। ১৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘টার্গেট তারেক রহমান’। তাতে বলা হয়েছে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিপক্বতা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে দেশবাসীর যে আস্থা তাঁর প্রতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ঈর্ষান্বিত গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিণত হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘একটি মহল তারেক রহমানের চরিত্রহননের দুঃসাহস দেখিয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চলছে। সেই চক্রান্তের একমাত্র লক্ষ্য হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিএনপি নেতারা মনে করেন, ‘তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে ভোটের মাধ্যমে তাঁকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয়। তারা তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ বিশেষ মহলটি কারা, তা মির্জা আলমগীর কিংবা বিএনপি নেতারা পরিষ্কার করে বলেননি। তবে বুঝতে সমস্যা নেই, যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পথে তারেক রহমানকে প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন, ‘বিশেষ মহলটি’ তারাই।
সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের শিকার তারেক রহমান এর আগেও হয়েছেন, যে কথা নিবন্ধের শুরুতেই উল্লেখ করেছি। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ২০০১ থেকে ২০০৬ ও পরবর্তীকালে এক-এগারো সরকারের আমলে এ অপপ্রচারকরা ছিল আধিপত্যবাদী শক্তির শিখণ্ডী। তারা তারেক রহমানের চরিত্রহননের মাধ্যমে এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির পরবর্তী নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সে শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। এটা অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। পৃথিবীর ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, যখনই তৃতীয় বিশ্বের (কথাটি এখন আর প্রচলিত নয়। তার জায়গাায় এসেছে ‘উন্নয়নশীল’) কোনো দেশের একজন জাতীয়তাবাদী নেতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো তখনই তাকে টার্গেট করে। আর তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চরিত্রহনন। এ চরিত্রহননের উদ্দেশ্যে জনপ্রিয় ওই নেতার বিরুদ্ধে নানা রকম কাল্পনিক কাহিনি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওয়ান-ইলেভেনের আগে ও পরে তারেক রহমানের বেলায় সেটাই করা হয়েছিল। এর কারণ অনুসন্ধান করতে হলে আমাদের একটু পেছনে যেতে হবে। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব পূর্ণাঙ্গ ছিল না। প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রটির বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ বাংলাদেশকে কার্যত ওই দেশটির অলিখিত উপনিবেশ বানিয়ে রেখেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নেতাও তখন ওই শক্তিটির কাছে অসহায় ছিলেন। তিনিও ছিলেন জাতীয়তাবাদী নেতা।
অনেকে মনে করেন, ১৯৭৪ সালে সেই দেশটির পূর্বানুমতি ছাড়া পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামি দেশগুলোর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তিনি আঞ্চলিক ওই পরাশক্তিটির অসন্তুষ্টি অর্জন করেছিলেন। ভবিষ্যতে শেখ মুজিবকে কবজায় রাখা না-ও যেতে পারে এ আশঙ্কা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন একটি ধারণা পর্যবেক্ষক মহলে রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত অভ্যুত্থান ও একই বছরের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘোষণাদানকারী দেশপ্রেমিক এ সেনানায়ক রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেই বললেন, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কিন্তু কোনো প্রভু নেই।’ কোনো বহিঃশক্তির আজ্ঞাবহ বা ক্রীড়নক হয়ে না থাকার এ দৃঢ়তা তাঁকে আধিপত্যবাদী শক্তির চোখের বালিতে পরিণত করে। যার ফলে ১৯৮১ সালের ৩০ মে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ও বিভ্রান্ত সৈনিকের হাতে তাঁকে শাহাদাতবরণ করতে হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির পতাকা হাতে নেন তাঁরই পত্নী খালেদা জিয়া। তত দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা চলে গেছে আধিপত্যবাদী শক্তিটির ‘সেকেন্ড চয়েস’ সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের কবজায়। খালেদা জিয়া ৯ বছর রাজপথে স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হন। ১৯৯০-এ স্বৈরশাসকের পতনের পর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন হয় বিএনপি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির এ অধিষ্ঠান খুশি করতে পারেনি ওই বহিঃশক্তিটিকে। তাই তাদের ক্রীড়নকের মুখ থেকে জাতিকে শুনতে হয়েছিল, ‘এই সরকারকে একমুর্হূতও শান্তিতে থাকতে দেব না।’ চেষ্টা যে তারা করেনি তা নয়। খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারকে পর্যুদস্ত করতে নানা রকম অপচেষ্টা তখন দৃশ্যমান ছিল। নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আধিপত্যবাদী শক্তির পছন্দের দলটি। তারা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ওই শক্তিটিকে তুষ্ট করে ক্ষমতার মসনদকে টিকিয়ে রাখে।
আসে ২০০১ সালের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অষ্টম নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের প্রচারণার কাজে নেতৃত্ব দেন তারেক রহমান। তিনি তখন বিএনপির কোনো বড় নেতৃত্বে ছিলেন না। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে একদল তরুণের সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত প্রচারণা নির্বাচনি মাঠে বিএনপিকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে যায়। নির্বাচনে বিএনপি ভূমিধস বিজয় অর্জন শেষে সরকার গঠন করে। সারা দেশে তারেক রহমান সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর ২০০২ সালের জুন মাসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত দলীয় হাইকমান্ডের সম্মতি সাপেক্ষে সারা দেশে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে তিনি যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেন, তা তাঁকে নিয়ে যায় তৃণমূল পর্যায়ে। বুঝতে কারও বাকি থাকে না, বেগম জিয়ার পর তারেক রহমানের হাতেই যাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পতাকা। তারপর থেকেই সেই বিশেষ শক্তিটি ও তাদের এ দেশীয় তল্পিবাহকরা উঠেপড়ে লাগে তারেক রহমানের ইমেজ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায়। যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।
রাজনৈতিক নেতারা ভুল করেন না, তা নয়। তেমনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা দল পরিচালনা করতে গিয়ে তারেক রহমানও দু-চারটি ভুল যে করেননি তা বলা যাবে না। যেহেতু তিনি রক্তমাংসের মানুষ, তাই তারও ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। তিনি যদি কোনো ভুল করেন বা বলেন, অবশ্যই তার সমালোচনা হবে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, দল থেকে পদত্যাগ করে পেশাদার সাংবাদিকের নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার পর তারেক রহমানের কোনো কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা বক্তব্য-মন্তব্যের সমালোচনা আমিও করেছি। ভবিষ্যতেও তিনি যদি কোনো ভুল করেন, তারও সমালোচনা হয়তো করব; কিন্তু অতিসম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যে কদর্য ভাষায় রাজপথে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই সব অশালীন-অশ্রাব্য স্লোগান কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীরা উচ্চারণ করতে পারে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু সভ্য মানুষেরা যেটা কল্পনা করতে পারে না, অসভ্যরা সেটাই করে ফেলে অবলীলায়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, তারেক রহমানের এ নব্য দুশমন কারা? কারও কারও মনে হতে পারে, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে উদগ্র হয়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক শক্তির টার্গেট হয়েছেন তিনি। তবে আমার বিবেচনায় শুধু এই একটি নির্বাচনই নয়, আরও নানাবিধ কারণ রয়েছে। প্রথমত তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের সন্তান। দ্বিতীয়ত তিনি এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির জনপ্রিয় নেতা। ২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় ইতিহাস পাল্টে ফেলার একটা চেষ্টা আমরা লক্ষ করছি। এ ধরনের অপচেষ্টার সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াবেন তারেক রহমান। কেননা তিনি এ দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পতাকাবাহী নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই এ দেশের জাতীয়তাবাদী জনগোষ্ঠী তা প্রতিহত করবে। যারা সেটা করতে চেয়েছে, তারাই তারেক রহমানকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তারেক রহমানকে পরামর্শ দেওয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। তবে ২০০২ সালে চীন সফরের সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ঝাও জিয়াং তাঁকে যে কথাটি বলেছিলেন সেটা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ঝাও বলেছিলেন, ‘তোমার হাতে দুটি পতাকা। একটি তোমার বাবার, একটি তোমার মায়ের। এ দুটোকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করবে।’ ইতোমধ্যে আরও একটি পতাকা তারেক রহমানের হাতে এসেছে। সেটি হলে জাতীয়তাবাদের পতাকা। যে পতাকা সমুন্নত রাখার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ