ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কড়া হুঁশিয়ারি দিলে বলেছেন, দরকার হলে ইসরায়েলে আরও কঠোর হামলা চালাতে প্রস্তুত তার দেশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে পরিচালিত প্রচেষ্টা ও উসকানিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার কাতারের আল জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তার নিজস্ব ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, যারা মনে করে আমাদের পরমাণু কর্মসূচির ইতি ঘটেছে, তারা বিভ্রমে আছে। আমাদের পরমাণু সক্ষমতা আমাদের বিজ্ঞানীদের মনে নিহিত, কেবলমাত্র স্থাপনাগুলোতে নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এমনকি সামরিক হামলার মাধ্যমেও ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে তারা।
পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা পরমাণু অস্ত্রের বিরোধিতা করি। এটি আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, মানবিক ও কৌশলগত অবস্থান। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে কঠোর পরিদর্শনের পরেও শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের প্রমাণই পেয়েছে।
আলোচনার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, যেকোনো আলোচনা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার অক্ষুণ্ণ রেখে।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, গত মাসে ইসরায়েলের অঘোষিত যুদ্ধে ইরান বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মোতায়েন করে, যার ফলেই ১২ দিনের মাথায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়।
পেজেশকিয়ান বলেন, আমাদের বাহিনী যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে অধিকৃত ভূখণ্ডে গভীরে আঘাত হানবে।
ইসরায়েল ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা গোপন করছে বলেও মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল