জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউর ১৮ নম্বর শয্যায় ৬৮ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে চিকিৎসা চলছে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল মাকিনের। উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় মাকিন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। এ সময় সঙ্গে ছিল মাকিনের আরও দুই বন্ধু আরিয়ান (১৩) এবং আয়ান (১৪)। মাকিনের এ দুই বন্ধুও পর্যায়ক্রমে ৮৫ ও ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান মাকিনের মামা দুর্জয়। তবে সেদিন স্কুলে না এলে হয়তো এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে এখন আফসোস করছেন তারা। আইসিইউর সামনে অপেক্ষারত মাকিনের বাবা মো. মোহসিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার ছেলে স্কুলে যেতে চায়নি। ওর স্কুলে চুল বড় হলে কর্তৃপক্ষ শাসন করে। এজন্য চুল কাটার কথা বলে দুর্ঘটনার দিন স্কুলে যেতে চায়নি মাকিন।’
আইসিইউর সামনেই সন্তানের জন্য আহাজারি করছিলেন মাকিনের মা গৃহিণী সালেহা বেগম। তাঁর কান্না থামছিলই না। তিনি আল্লাহর কাছে মাকিনের জন্য প্রার্থনা করছিলেন। পাশেই বসা ছিলেন মো. মোহসিন। তিনি বলেন, ‘আমি গাড়িতে করে মাকিনকে সেদিন স্কুলে পৌঁছে দিই। নিজের হাতে খাবার তুলে খাইয়ে দিই ছেলেকে।’ মাকিনের মামা দুর্জয় জানান, এই দুর্ঘটনায় ভাগনে মাকিনের সঙ্গে তার অন্য বন্ধু আয়ান ও আরিয়ানও আহত হয়। প্রথমে এই তিন শিক্ষার্থীকে উত্তরা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। তিনি আরও জানান, ছেলেটি নরম স্বভাবের, খুব লাজুক প্রকৃতির ও মেধাবী। মাকিনরা দুই ভাই। বড় ভাই এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।