মধ্যরাতে চট্টগ্রাম শহরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। লাঠিসোঁটা, লোহার রড হাতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার পাশাপাশি গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে রাত ২টা পর্যন্ত। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে চকবাজার থানার সামনে শুরু হওয়া ঘটনা পরে চানমারি রোড থেকে গুলজার মোড় এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। চকবাজার থানার ওসি মো. জাহেদুল কবির বলেন, ‘এক যুবককে থানায় সোপর্দ করা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের বা কাউকে আটক করা হয়নি। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা এক যুবককে ধরে ছাত্রলীগের কর্মী উল্লেখ করে চকবাজার থানায় সোপর্দ করেন। অন্যদিকে ছাত্রশিবির তাকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ উল্লেখ করে থানা থেকে ছাড়াতে যায়। এ নিয়ে পুলিশের সামনেই দুই পক্ষে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি ঘটে। পরে থানার সামনেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে থানার দুই পাশে চানমারি রোড থেকে গুলজার মোড় পর্যন্ত। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছাত্রদল চট্টগ্রাম নগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। সে একসময় আমাদের অনেককে মারধর করেছিল। কিন্তু শিবিরের নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় যান। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা হয়।’
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) শাখার প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, ‘যাকে থানায় দেওয়া হয়েছে, তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা। তাকে আটকের প্রতিবাদ করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা থানায় গিয়েছিল। সেখানে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা হামলা করে।’