বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয় না বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। গতকাল দুপুরে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারানো পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের ফিউনারেল প্যারেডে তিনি এসব কথা বলেন। বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কি না। আসলে বিষয়টি হলো একটি বিমানের লাইফটাইম থাকে ৩০ বছরের মতো। এই সময়ে আমরা যাদের থেকে বিমান ক্রয় করি তাদের মাধ্যমে পুরোপুরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সত্যি কথা হলো বিমানটি পুরোনো নয়, প্রযুক্তি পুরোনো। আমরা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতে কোনো কম্প্রোমাইজ করি না। বিমান বিকলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বিধ্বস্ত বিমানে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিংয়ে কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম সোলায়মান বলেন, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসাসেবায় বিকালে ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুরের একটি চিকিৎসক দল। রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যাবেন তারা। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসাসেবা দেবেন। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন তারা। এ ছাড়া সিএমএইচ থেকে দুজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হবে। এস এম সোলায়মান বলেন, আমরা যে মৃতের সংখ্যা বলছি সেটা নিশ্চিত হয়ে বলেছি। আপনারা চাইলে যে কোনো জায়গা থেকে ক্রসচেক করতে পারেন।