চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিনে জমে উঠেছে নির্বাচনি আমেজ। সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভিড় চোখে পড়ে নির্বাচন কমিশনে। কর্মকর্তাদের মতে, প্রত্যাশার তুলনায় বেশি শিক্ষার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন, যা দীর্ঘ তিন যুগ পর আয়োজিত এই নির্বাচনের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
শেষ দিনে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য বিক্রি হয়েছে ৩৪১টি ফরম। এর আগে দুই দিনে বিক্রি হয়েছিল ৯৭টি। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ফরম বিক্রি হয়েছে ৪৩৮টি।
অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের সংসদের জন্য শেষ দিনে বিক্রি হয়েছে ৫০৪টি ফরম। এর আগে দুই দিনে বিক্রি হয়েছিল ৭৪টি। সব মিলিয়ে হল সংসদের জন্য ফরম বিক্রি হয়েছে ৫৭৮টি। ফলে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলে মোট ১ হাজার ১৬টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
এদিকে প্রীতিলতা হলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা-সমর্থিত ‘সংঘবদ্ধ ছাত্রী জোট পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। সেখানে শেষ দিনে ১২ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। প্যানেলে সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মিজাবাহুল জান্নাত তারিন, সাধারণ সম্পাদক পদে আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাদিয়া সুলতানা তাসনিয়া এবং সহসাধারণ সম্পাদক পদে ভূগোল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আফরিদা রিমা। আফরিদা রিমা বলেন, ‘ডাইনিং সমস্যা, পাঠাগারে বইয়ের অভাব ও ছোট নামাজ রুমের মতো সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা কাজ করব।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) কোনো প্যানেল দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সংগঠনটির চবি শাখার সদস্যসচিব আল মাশনূন বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে চাকসুতে অংশ নিচ্ছি না, তবে কেউ চাইলে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।’
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবদুল আউয়াল আলাউল বলেন, ‘আমার শিক্ষাজীবনের শেষ দিকে হলেও চাকসু নির্বাচন দেখতে পাচ্ছি, এটা আনন্দের বিষয়। শেষ দিনে প্রার্থীদের ভিড় বেশি ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের আমেজ দেখতে চাই।’
তফসিল অনুযায়ী, ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা, ১৮ সেপ্টেম্বর যাচাইবাছাই, ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক তালিকা, ২৩ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং আগামী ১২ অক্টোবর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।