বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার-সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কিছুটা বেশি দামে কেনা হবে এ গম।
গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম তুলনামূলক বেশি কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘দাম একটু বেশি হলেও আমরা অন্যদিক দিয়ে সুবিধা পাব। যুক্তরাষ্ট্রের গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি। প্রোটিন খুব বেশি তা নয়, তবে একটু বেশি।’ জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) এবং বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুসারে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হুইট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ গম আমদানি করা হবে। প্রতিমেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ৭ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৯১ টাকা ৮৮ পয়সা কেজি দরে এ মসুর ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৬৪ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মসুর ডাল কেনার পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৯ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ধরা হচ্ছে ১২ দশমিক ৪৩ মার্কিন ডলার। এদিকে বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৯ টাকায় এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এ এলএনজি কেনা হচ্ছে।
সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া, কানাডা ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।