২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২১

কালিয়াকৈরে মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে লেগুনা

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি

কালিয়াকৈরে মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে লেগুনা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে লেগুনা। রুট পারমিট না থাকলেও মহাসড়কে লেগুনা চালকরা যাত্রী বহন করছেন। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিপদজ্জনক ও প্রাণঘাতী যান লেগুনা ও অটোরিকশা এখন আতংকের নাম।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে নিষিদ্ধ লেগুনা ও অটোরিকশা। মহাসড়কে সহজলভ্য যান হিসেবে লেগুনা ও অটোরিকশা বেশ জনপ্রিয়। পরিবহন স্বল্পতায় অনেকটা বাধ্য হয়ে লেগুনায় চলাচল করছে যাত্রীরা। আর এতে অকালে মহসড়কে ঝড়ে যাচ্ছে প্রাণ। পুলিশের ছত্রছায়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কালিয়াকৈর বাইপাস মহাসড়ক দখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ লেগুনার স্ট্যান্ড। নিষিদ্ধ এসব অটোরিকশা ও লেগুনা যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। 

মৌচাক থেকে স্কয়ার পর্যন্ত মহাসড়কে চলছে অটোরিকশা, যার অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ। যার ফলে মহাসড়কে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া মহাসড়কে নিষিদ্ধ সিএনজি চালিত, ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান ও মালবাহী ভটভটিও দাপটের সাথে চলাচল করছে।

এমনকি পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে তৈরি করা লেগুনাও চলাচল করছে দেদারছে। এসব গাড়িতে যাত্রী বহন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনাও। সংশ্লিষ্ট পুলিশ মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কোনো ভিআইপি মহাসড়ক অতিক্রম করার খবরে পূর্ব থেকে নিষিদ্ধ গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয় হাইওয়ে পুলিশ। ভিআইপি চলে যাবার পর পুনরায় মহাসড়ক দখলে নেয় নিষিদ্ধ এসব যানবাহন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনা চালক জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে লেগুনা চালাতে হয়। টাকা না দিলে মামলা দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

অটোরিকশার চালক শফিকুল ইসলাম জানান, দশ দিন পরপর রেকার বিলের নাম করে ২০০০ টাকা দিয়ে থাকি।  দশ দিন পর হাইওয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ না করলে মামলা দিয়ে দেয় ২৬০০ টাকা। আমরা তো গরিব মানুষ, তাই টাকা দিয়েই রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয়।

সালনা হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, মহাসড়কের পাশ দিয়ে লেগুনা ও অটোরিকশা  চলাচল করতে পারবে। অটোরিকশার দুই হাজার টাকা করে রেকার বিল করা হচ্ছে। তবে তালিকা অনুযায়ী করা হচ্ছে কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না। 

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রমজান আলী খান বলেন, অবৈধ যানবাহন বন্ধ হলে সড়কে দুর্ঘটনা কমে যাবে। এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধ করা দরকার। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, মহাসড়কে যেসব অবৈধ লেগুনা ও অটোরিকশা চলাচলা করছে। সেগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গাজীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়ক দিয়ে লেগুনা ও অটোরিকশা চালার কোনো নিয়ম নেই। হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশা থেকে রেকার বিল দুই হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে এখনই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর