২২ মার্চ, ২০২৩ ২১:১৪

চরভদ্রাসনে ঘর পেল একশ পরিবার

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

চরভদ্রাসনে ঘর পেল একশ পরিবার

১৬ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু ঘটে শারীরীক প্রতিবন্ধী রোকেয়া বেগমের। স্বামী ওহাব খানের মৃত্যুর পর এক মাত্র কন্যাকে নিয়ে আহারে-অর্ধাহারের দিন কাটে তার। বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে জীবন কাটে স্বামীহারা রোকেয়ার। আট বছর ধরে একজনের দয়ায় থাকতে দেওয়া একটু জায়গার উপর দোচালা একটি টিনের ঘর তুলে বসবাস করছেন তিনি। নিজস্ব প্রয়োজনের তাগিদে জায়গার মালিক তাকে অন্য জায়গা দেখতে বলেছে। এখন কোথায় যাবে রোকেয়া। মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই খোঁজার জন্য বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিতে থাকে সে। কিন্তু কোথাও মিলছিলো না থাকার মত একটু জায়গা। অবশেষে স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় পেয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। ঘর পাওয়ায় তার অনুভূতি জানতে চাইলে  খুশিতে তিনি বলে উঠেন, এহন আমার থাহার জায়গা অইলো কেউ কইবো না ওর থাহার কোন জাগা নাই। 

রোকেয়া ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যপী চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন রোকেয়া বেগম। 

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউছার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির ত্রপা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খাইরুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন মোল্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন প্রমুখ।

জানা যায়, চতুর্থ ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা ও গাজীরটেক ইউনিয়নের ছিটাডাঙ্গী গ্রামে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল একশ পরিবার। সেই সাথে তাদেরকে দেওয়া হবে দুই শতাংশ জমির মালিকানা।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর