শিরোনাম
২৮ মার্চ, ২০২৩ ২০:০৫

নালিতাবাড়ীতে বনের জায়গা দখলের হিড়িক

শেরপুর প্রতিনিধি

নালিতাবাড়ীতে বনের জায়গা দখলের হিড়িক

শেরপুরের সীমান্ত উপজেলা নালিতাবাড়ীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চণ মধুটিলা ইকোপার্ক। ইকোপার্কের দক্ষিণের বাউন্ডারি সীমা সংলগ্ন বনের জমি দখল করে বন বিভাগের সামনেই রীতিমত স্থায়ী পাকা ঘরবাড়ি করার হিড়িক পড়েছে।মধুটিলার নিকটে সমেশ্চুরা এলাকাতে একই কায়দায় দখলবাজি চলছে।

অপর দিকে মধুটিলার অদূরে পাহাড়ি এলাকার বাতকুচি মৌজায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অন্তত ১২ একর জমি ঘেরাও করে পাহাড় কেটে তৈরি করছে বাণিজ্যিক প্লট। এভাবে প্রকাশ্যে দখল হলেও নীরব রয়েছে বন বিভাগ। বিশাল মধুটিলা রক্ষা করতে মধুটিলার মধ্যেই রয়েছে রেঞ্জ অফিস। ওই অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তরা বলেছেন বিষয়টি তারা জানেনই না।

স্থানীয়দের কেউ বলছেন বন বিভাগ ও দুর্বৃত্তরা মিলেমিশেই এই কাজ করছে। আবার কেউ বলছে প্রভাবশালীদের কাছে বন বিভাগ জিম্মি।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সরকারের বন বিভাগের থাকা কয়েক হাজার একর জমির মধ্যে ৩৮৩ একর জমিতে পরিবেশ উদ্যান (ইকোপার্ক) করে। নির্ধারিত ইকোপার্কের সীমানার ৩৮৩ একর জমিতে কিছু গরীব মানুষ কাঁচা ঘর করে থাকতেন।আস্তে আস্তে ওই মানুষগুলো অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। প্রভাবশালীরা দখলে চলে আসে। 

সূত্র জানিয়েছে মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন বনের জমি দখল করছেন ওই স্থানের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য মনিরা বগেম ও তাদের স্বজনরা। প্রভাবশালী ফারুক মেম্বার সমচূড়া এলাকায় দখল করছেন। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন জায়গায় বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে ভিতরে পাকা বাড়িঘর উঠছে। এর আশে পাশেও দখল চলছে। এদিকে সমেশ্চুরা এলাকার মেম্বার ফারুক একই কায়দায় দখল করছেন। বাতকুচিতে জনৈক রনি আক্তারের নামে বিশাল সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ চলছে। 

অভিযুক্ত মনিরা বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা এই স্থানে থাকি। সম্প্রতি আমার বোনকে বাড়ি করার জন্য এখানে কিছু জায়গা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ফারুক মেম্বারের দাবি উল্লেখিত জায়গা তার ক্রয়কৃত। বাতকুচির বিষয় নিয়ে রনি আক্তারের পক্ষের জনৈক মেজবা বলেছেন, বৈধ মালিকের কাছ থেকে কিনে ভূমি উন্নয়ন করছি। এটা পাহাড় নয় কান্দা।
 
মধুটিলা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেছেন, খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব। 

জেলার শীর্ষ বন কর্মকর্তা (সহকারী বনকর্মতা) ইউসুফ আলী বলেছেন, স্থানীয় কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দ্রুতই তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করবেন বলে জানান।

ময়মনসিংহ বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবেল মাহমুদ জানিয়েছেন, বনাঞ্চলে জায়গা যারই হোক অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা, স্থাপনা করা যাবে না। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর