চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সাবেক স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন নাজমিন খাতুন (২৬) নামে এক নারী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাজমিনের সাবেক স্বামী অভিযুক্ত মো. বাবু খাঁকে (২৯) রাতেই ধারালো অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
আটক বাবু খাঁ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর আদর্শপাড়ার মো. জলিল খাঁর ছেলে। নাজমিনের বাড়ি জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর এলাকায়। মুমূর্ষু অবস্থায় নাজমিনকে বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নাজমিন খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে বাবু খাঁর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আট বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান আছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় তিন মাস আগে নাজমিন তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপরই নাজমিন তার স্বামীকে তালাক দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাবু খাঁ মিনাজপুরে নাজমিনের বাড়িতে আসেন। এ সময় নাজমিন ও তার বাবার সঙ্গে বাবু খাঁর বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বাড়িতেই ধারালো দা দিয়ে নাজমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় নাজমিনের পরিবারের সদস্যরা বাবু খাঁকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পরে নাজমিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নাজমিন যশোরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘হামলা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগে নাজমিনের সাবেক স্বামী বাবু খাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই