পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায়ের লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে দিনাজপুরে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ। দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মসুল্লিরা নামাজে শরীক হতে পারেন এ জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ জুড়ে নেওয়া হবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ৯টা নামাজ শুরু হবে।
৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত গোরে শহীদ বড় ময়দানে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মিনারের ঈদুল ফিতরের বিশাল জামাতে এবার প্রায় ৬ লাখের অধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। এবারেও ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী। ঈদের দিন ঈদ জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
পুরো ইদগাহ জুরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। সকাল ৭টা থেকে মুসুল্লিরা মাঠের প্রবেশ পথ দিয়ে আসবেন। মোট ১৯টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধু মাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করবেন মুসুল্লিরা। থাকবে পর্যবেক্ষন টাওয়ার। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। মাইক বসানো হবে ১১০টি। এছাড়া ইমাম সাহেবকে সহযোগিতা কারার জন্য বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে ৫শতাধিক মুক্কাবির নিয়োজিত থাকবেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ওজু করতে যেন অসুবিধা না হয় এজন্য ২৫০টি ওযুখানা এবং খাবার পানির ব্যবস্থা রাখা হবে।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি দর্শনীয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল