টাঙ্গাইলের সখীপুরে কাবিনের নকল দিতে না পারায় বরের মামলায় ভুয়া কাজী হিসেবে মো. লোকমান হোসেন খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখীপুর আমুলি আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানান এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন। তিনি সোলাপ্রতিমা দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী ক্বারী। তার বাড়ী উপজেলার নলুয়া গ্রামে। তিনি মঙ্গলবার ছুটিতে আছেন বলে জানান মাদ্রাসার সুপুার মো. হুসাইন আলী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি মামলায় কাবিনের সঠিক নকল দিতে না পারায় মো. লোকমান হোসেন খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন উপজেলার নলুয়া গ্রামের বর হাফিজুর ইসলাম সানি। এ মামলার তদন্ত সাপেক্ষে মো. লোকমান হোসেন খান এবং রুহুল আমীন নামের এক কাজীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেয় সখীপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মো. লোকমান হোসেন খানকে কারাগারে পাঠান আদালত।
সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ঝিল্লুর রহমান অনম বলেন, ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া আমার জানামতে সে একদিনের ছুটিতে আছে।
এ ঘটনায় লোকমান হোসেন খানসহ চার জনের নামে আদালতে অভিযোগ দেয় হাফিজুর ইসলাম সানি। অভিযোগ তদন্ত করে কয়েকটি নিকাহ রেজিস্ট্রারের বই জব্ধ করে এবং ৩৭ নং পৃষ্ঠায় হাফিজুর ইসলাম সানি ও শামছুন্নাহার পপির বিবাহ রেজিস্ট্রি করা আছে কিন্তু কোন স্বাক্ষীর স্বাক্ষর নাই। এতে এসআই মাসুদ রানা এ মামলার বিবাদী মো. লোকমান হোসেন খান ও মামলায় তদন্তে পাওয়া বিবাদী রুহুল আমিন ভূঁয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন। এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মো. লোকমান হোসেন খানকে কারাগারে পাঠান আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এএ