ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৪০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল থেকে তারাই যানজট নিরসনে মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছেন। পরবর্তী কোনো নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তারা মহাসড়কে কাজ করে যাবেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি আজ সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম এবং শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরিন্দা বাজার পর্যন্ত মোট ১০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৪০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশ, মোবাইল টিম, হোন্ডা টিম, অ্যাম্বুলেন্স টিম মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দুই মহাসড়কের কোথাও কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাজনিত যানবাহন দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও মদনপুর এলাকায় দুটি রেকার এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কে কোনো যানজট না থাকায় কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন। এছাড়া যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না। তাই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পেরে খুশি ঘরমুখো যাত্রীরা।
এ বিষয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, শিমরাইল মোড়টি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী তাদের গন্তব্যস্থলে যান। সেজন্য মহাসড়কের এই স্থানটি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. ইব্রাহিম জানান, যানজট নিরসনে গতকাল থেকেই আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, অন্যবারের তুলনায় এবার ঘরমুখো মানুষ কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই সহজেই তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ