রংপুরের তিন উপজেলায় তিন দিনে নারীসহ ৩টি লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এসব লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে কাউনিয়া, পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলায়। লাশ উদ্ধারের আগে তারা নিখোঁজ হয়েছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পেছনে ডোবা থেকে সহিজন বেগম (৮১) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে শাহাবাজ গ্রামের রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ধারে এক প্রতিবেশী বাড়ির পিছনে ডোবার পানিতে নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ শাহ ডোবা থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে সাজ্জাদুর রহমানের মরদেহ সোমবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি এর একদিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন। নিহত সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ (২৭) মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর তেলীপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ উপজেলার বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ডে মোবাইল মেরামত এবং মোবাইলের যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন। রবিবার রাতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে আসেন। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার বাড়ির পাশে জনৈক সোবহানের পুকুরে সাজ্জাদের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে। মিঠাপুকুর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে রংপুরের পীরগাছায় মামলার হাজিরা দিতে এসে নিখোঁজ মাসুদ রানা নামে এক যুবকের লাশ মিলছে বাড়ির পাশে ধান খেতে। রবিবার দুপুরে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের মমিন বাজার সড়কের গণকের দিঘী নামক স্থানের একটি ধান খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুদ রানা (১৭) পশ্চিম ব্রাহ্মণীকুন্ডা (কানিপাড়া) গ্রামের মৃত রনজু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নিহত মাসুদ রানা তার মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো। গত ১৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলায় হাজিরা দিতে পীরগাছায় আসেন। এরপর তিনি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের সদস্য তাকে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পাননি। রবিবার দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘাস কাটতে গিয়ে লাশটি দেখতে পান।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি রোমেল বড়ুয়া বলেন, এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম