মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আরব-মুসলিম নেতাদের বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েল ছাড়া সব শক্তিধর দেশের নেতাদের নিয়ে এ বৈঠক সফল হয়েছে। এই সেই দল, যারা সমস্যার সমাধান করতে পারে। ট্রাম্পও বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তবে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ডজন ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, আর হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
এ বৈঠকে অংশ নেন মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প চেয়েছিলেন আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় সেনা পাঠাতে সম্মত হোক। এতে ইসরায়েল সেখান থেকে সরে যেতে পারবে এবং উপত্যকার পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হবে।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, বৈঠকের আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল গাজার যুদ্ধ বন্ধ করা ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং তীব্র মানবিক সংকট মোকাবিলাও আলোচনায় অগ্রাধিকারে ছিল।
পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সরাসরি কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত রাখার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে, যদিও ইসরায়েল আগেই জানিয়েছে তারা এটি মানবে না। পরিকল্পনায় হামাসের কোনও ভূমিকা নেই; যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলছে, হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র ও নির্মূল করতে হবে। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ