ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৮ জন নিহতের শোকাহত তিন পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানাতে নিহতদের বাড়িতে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের আলমগীর খান এবং গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আজিজার শেখের বাড়িতে গিয়ে নিহত তাসলিমা বেগমের ছোট মেয়ে চায়না (২৫) ও ছেলে আনিস শেখকে (১৮) সান্ত্বনা দেন।
আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দলের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেই এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি এই পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ধরনের দুর্ঘটনা সত্যিই অভাবনীয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি (সাবেক) আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, সহ-প্রচার সম্পাদক এনামুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিদ্দিক খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, দাউদুজ্জামান দাউদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর হোসেন তুশার, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশিকুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিক, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিদুল প্রমুখ।
বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগরের উদ্দেশ্যে তার দুই মেয়ে, চার নাতি-নাতনিসহ ৭ জন বাড়ি ফিরছিলেন। শনিবার ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম ফ্লাইওভারের অ্যাপ্রোচ সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্রিজের রেলিঙের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালকসহ ৮ জন দগ্ধ হয়ে মারা যান।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল