বরগুনার তালতলীতে ঘরে আটকে রেখে ফারজানা আক্তার নামের (২৬) এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী মো. মেহেদী হাসান আরিফের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশি সহায়তা চাইলে তালতলী থানা পুলিশ তালা ভেঙে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আরিফকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আরিফ ছোট ভাইজোড়া সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।
জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে মালীপাড়া এলাকার মো. আশরাফ আলীর ছেলে আরিফের সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মহিপুর থানার নিজামপুর গ্রামের জলিল ফরাজীর মেয়ে ফারজানা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে আছে। এরই জের ধরে প্রায় সময়ই শারীরিক নির্যাতন চলতো ফারজানার উপর।
নির্যাতিত গৃহবধূ ফারজানা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই তার স্বামী আরিফ শারীরিক ও মানুষিকভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলোপাথারি মারধর করে মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয় ফারজানাকে। পরে ঘরে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা দিয়ে রাখে অভিযুক্ত স্বামী। ফারজানা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। ফারজানা জানায়, থানায় নিয়ে আসার পরে তার শ্বশুর, ননদ ও স্থানীয় মেম্বরকে নিয়ে এসে আমাকে ২ লাখ টাকা দিয়ে তালাক দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি নির্যাতনের বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম মিলন বলেন, ৯৯৯ নাম্বারের মোবাইল করার পর পুলিশ গৃহবধূ ফারজানাকে উদ্বার করে তার স্বামীকে আটক করছে। ওই গৃহবধূ মামলা করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/এএম