নেত্রকোনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় মামালা দায়ের। পূর্বধলা উপজেলার কাডুযার গ্রামের ইদ্রিস আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে রবিবার রাতে নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাই ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার বিকালে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ইদ্রিস আলী পূর্বধলা উপজেলার আগিযা ইুইনয়নের কালডোয়ার গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাড়ির অদূরেই সুনীল মার্কেটে পোশাক তৈরির কাজ করতেন। দীর্ঘ দিন ধরেই ইদ্রিস আলীর সঙ্গে তার সৎ ভাই আক্কাছ আলীর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় কয়েকদফা দ্বন্দ্ব হয়েছে। ইদ্রিস আলীর তিন মেয়ে সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে থাকতেন বাবার বাড়িতে। রবিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছেই মসজিদে নামাজ আদায় করে বাড়িতে আসার পথে প্রতিপক্ষ পথরোধ করে এলাপাথারি হামলা করে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকারে মেয়ে স্ত্রীসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। জখমি ইদ্রিস আলীকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে মাহমুদা আক্তার জানান, বাবার জমির উপরে নজর ছিলো বাবার সৎভাই ভাতিজাদের। আমরা মেয়ে বলে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার পায়তারা করে আসছিলো। প্রায় সময় আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছিলো ওরা। নামাজ আদায় করে আমার বাপ ঘরে আসার পথে আটকে সড়কেই ওঁৎ পেতে থাকা হায়েনারা আমার বাবাকে কুপিয়ে শেষ করে দেয়। আমি ভেবেছি কারো সাথে ঝগড়া হচ্ছে। এগিয়ে গিয়ে দেখি আমার বাবাকে কুপাচ্ছে। পরে মা সহ অন্যরা এগিয়ে যাওয়ায় আমার উপর হামলা করতে পারেনি। পালিয়ে গেছে। আমি এমন হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বলেন, আমার তিন মেয়ে ছেলে নেই। তাই জমি দখলের জন্য আমাদের সকলকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। একজন একজন করে নাকি হত্যা করবে সবাইকে। এই বলে আমার স্বামীকে শেষ করে দিয়েছে।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এটি নৃশংস হত্যাকান্ড। হাত এবং পায়ে কুপিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম