রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় রানা শাহ (৩৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রানা শাহ মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের হাতিমপুর গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে পীরগঞ্জ থানাধীন বড়দরগাহ ইউনিয়নের শাহাপাড়া হাজীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে সালমা বেগমের (২৮) সঙ্গে রানা শাহের বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে সালমা বেগমের বড় ভাই সুমন মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগমের সঙ্গে (৩০) রানা শাহের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে রানা শাহ তার স্ত্রী সালমা বেগমকে তালাক দিয়ে রুমানা বেগমকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। প্রায় সময় রানা শাহ ও রুমানার মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া লেগে থাকত। শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী মোটর সাইকেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত অনুমান ১০ টার দিকে বাড়ীতে ফেরেন। রবিবার সকাল ৭টার দিকে রানা শাহের শাশুড়ী রেজেকা বেগম ওই বাড়ীতে গিয়ে বারান্দার কাঠের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো রানা শাহের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী রুমানা বেগম পলাতক রয়েছেন।
এদিকে রানা শাহের পরিবারের অভিযোগ, রানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মৃতের বাবা স্ত্রী রুমানা বেগমসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম