কুষ্টিয়ায় নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ ও হাসানুল হক ইনু। হানিফ বলেছেন, বিএনপির যারা সন্ত্রাস করছে তাদের ধরা হচ্ছে, বাকি শীর্ষ নেতাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন তারা। আর ইনু বলেছেন, নির্বাচনের পরের সমস্যা মোকাবেলার সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা সরকারের আছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের হরিপুর ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু শুক্রবার বেলা ১১টায় কথা বলছিলেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের মিরপুর জাসদ কার্যালয়ের সামনে পথসভায়। ইনু বলেন- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থাকবেই। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ফেলেছেন, নির্বাচনে কেউ বাধা দিলো না। যথাসময়েই হয়ে যাচ্ছে। আর নির্বাচনের পরের সমস্যা মোকাবেলার সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা সরকারের আছে, আমরা পারবো। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে শেখ হাসিনার বক্তব্যের রেশ টেনে ইনু বলেন, তিনি মনে করেছেন প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য ভাল। জনগণ যাকে রায় দেবেন তিনি সংসদে যাবেন। ইনু পরে তার নির্বাচনী এলাকা মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও জনসংযোগ করেন।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ তার নির্বাচনি এলাকা কুষ্টিয়া সদরের হরিপুর ইউনিয়নে দিনভর গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, বাসে-ট্রেনে আগুন দেয়া ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তারা সন্ত্রাসী নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করছে, পলাতক বাকিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। দ্রুতই এসব চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ হয়ে যাবে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে কোন আতঙ্ক বা সংশয় নেই। নির্বাচনবিরোধী লিফলেটের ব্যাপারে হানিফ বলেন, বিএনপি জনধিকৃত, জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। তাদের এসব লিফলেট জনগণ গ্রহণ করছে না। জনগণ এরই মধ্যে নির্বাচনের উৎসবের আমেজে প্রবেশ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল