রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিতহ ৫ জনের মধ্যে ৩ জন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মরদেহ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সকালে দাফন করা হয়েছে। মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের খয়ের ঘটিচোরা এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে বেল্লাল হোসেন (২৬), বিল্লাহ হোসেনের স্ত্রী মুক্তা খাতুন ও মেয়ে মাইশা আক্তার (০৪)।
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে নিহতদের লাশ মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের দ্রেবত্র গ্রামে এসে পৌঁছালে নিহত মুক্তা খাতুন ও মাইসার লাশ মুক্তা খাতুনের বাবার বাড়িতে দাফন করা হয় এবং বেল্লাল হোসেনকে তারা মামার বাড়ি দ্রেবত্র গ্রামে দাফন করা হয় বলে জানান নিহত মুক্তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন।
নিহত বেল্লালের চাচাতো ভাই কামরুল মুন্সি জানান, বেল্লাল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার গাজীপুরে বাসবাস করতো। গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফেক্টোরিতে চাকরি করতো। ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি আসার জন্য ঈদের দিন সদরঘাটের এসেছিল। সেখানে ঘাটে এম ভি তাসরিফ-৪ ও পূবালী-১ লঞ্চ বাধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝে ফারহান লঞ্চ ভিড়তে গেলে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জন মারা যায়। তাদের মধ্যে বেল্লাল, তার স্ত্রী মুক্তা ও মেয়ে মাইশা আক্তার মারা যায়। নিহত মুক্তা খাতুন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে নিহতদের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়েছে। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ দাফন কার্য সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন কাজ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত