পদ্মা সেতুতে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক মাইক্রোবাস চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মুন্সীগঞ্জ সদরের সিপাহীপাড়া এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর উপরে মাইক্রোবাসটির পেছনে চাকা হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ।
পরে মাইক্রোবাস চালক গাড়ি থেকে নেমে চাকা মেরামতের চেষ্টা চালায়। এ সময় পেছন থেকে এসে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ তৈয়ব আলী (৩৪)।
এরপর তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক আজমীর হোসেন (২৮) ও তার স্ত্রী শ্রাবণী ইসলামসহ (২৭) দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ ও সেতু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিয়োজিত কর্মীরা।
নিহত তৈয়ব আলী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার বাগিয়া এলাকার মো. বেলায়েত শেখের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর এএসএম জিয়াউল হায়দার জানান, এ ঘটনায় মোটরসাইকেলসহ দু’জনকে আটক করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের সদস্যরা। এ ছাড়া মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মূলত মোটরসাইকেলের দ্রুতগতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া দুর্ঘটনার কারণ ও পরিস্থিতি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই