পাবনার সুজানগরে স্কুল শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানবন্ধন করেছে গ্রামবাসী। রবিবার (১৯ মে) দুপুর ১২ টায় উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণকান্ডে জড়িত বখাটের ফাঁসির দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সুজানগরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুরের পর নিজ বাড়ি থেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ বর্ববরতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভাটপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ক'দিন হলো দেখছি এলাকায় বখাটেদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে, বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর থেকে শুরু করে এখন ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মেয়েরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে, নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানী বলেন, আমার স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের অসহায় কন্যার সাথে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে শাহীনুজ্জামানকে ভোট দেয়ায় তাদের উপর অবর্ণণীয় নির্যাতন চলছে বলেও জানান তিনি। তিনি দোষীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এদিকে এই ধর্ষণকাণ্ডে সারা দেশে চলছে সমালোচনা। দোষীদের বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। তিনি বলেন, পুুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অতি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গত শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বারেক, সাজিদ ও ইমন নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির ও তুহিন নামে আরো দুজন যোগ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বারেককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল