কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুইজন নিহতের ঘটনায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৩ জন ও অপর মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ জনকে।
নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার লুকমান হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৩) এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বাবু (৩২)। আবদুল্লাহ বাবার সাথে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে অবস্থিত চায়ের দোকানে কাজ করতো। আর বাবু স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। ৫ আগস্ট বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে তারা দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এদের মধ্যে বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। নিহত আবদুল্লাহর বাবা লোকমান এবং নিহত বাবুর পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাইসুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দুটি করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ ৪৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা দুটিতে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ১২ এবং ১৩ নং এজাহার হিসেবে মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে মামলার কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএ