লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলায় টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে অধিক কষ্টে রয়েছেন উপকূলীয় জনপদের বাসিন্দারা।
দক্ষিণ চরবংশী, দক্ষিণ চর আবাবিল, উত্তর চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিলের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ডুবে শতভাগ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরঘাঁসিয়া, চরজালিয়া, চরকাচিয়া ও চরখাসিয়ার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। ডুবে গেছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্কুল, কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনার আঙিনা। এ দিকে বেড়িবাঁধের বাহিরের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মোঃ বারেক মাঝি নামে চরকাচিয়ার এক জেলে মুঠোফোনে জানান, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। গবাদি পশুগুলো পানিতে রয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। অধিক বৃষ্টি হওয়ায় পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
মিয়ারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মরণ আলী বলেন, আশ্রায়ণের ঘরগুলো নিচু জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। আমাদের বিছানায়ও পানি উঠেছে। কাল রাতেও ঘুমাতে পারিনি।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে গেছে মোল্লারহাট ও জালিয়ার চরের সংযোগ সড়ক। অতি বর্ষণের ফলে সড়কের বিভিন্ন অংশে ধরেছে ফাটল।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়ার খবর পেয়েছি। আমাদের মেডিক্যাল টিম সজাগ রয়েছে। ২২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ