জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দেশের ৬৪ জেলার ৬৪টি খাল, নদী ও জলাশয় পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলসীগঙ্গা নদী পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে তুলসীগঙ্গা নদী থেকে কচুরিপানা ও আর্বজনা পরিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে শহরের রজাকপুর মহল্লায় জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপরিচালক জাবেদ ইকবাল ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফইজুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলসীগঙ্গা নদী পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
নওগাঁর তেঁতুলিয়া বিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নদী আমার মা, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে এবং দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। এই প্রত্যয়কে বুকে ধারণ করে বিডি ক্লিনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে আমরা নদী পরিষ্কারে অংশ নিয়েছি। আশা করি যে কারণে এ নদীর দু:খ ও দুর্দশা বিশেষ করে নদীর পানি প্রবাহকে বন্ধ করে দেয়ায় মৃতপ্রায় অবস্থা তা আর থাকবে না। আজকে নদীর এ দুর্দশা আমাদের দেখতে হতো না। যদি নদীর মুখ খুলে দেয়া হয় তবে নদী তার গতিপথ ফিরে পাবে। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি নদী বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল জানান, তুলসীগঙ্গা নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানা ও আর্বজনা পরিষ্কার করা হবে। এতে বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ প্রায় ২৫০জন অংশ নেয়। ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিষ্কার করে। নদী পরিষ্কারের ফলে পানিতে থাকা জলজপ্রাণিদের বসবাস করা অনেকটা সহজ হবে। নদীর স্বাভাবিক যে গতিপথ তা ফিরে পাবে বলে জানানো হয়। হাতল, কাস্তে ও দা হাতে নিয়ে পরিষ্কারে অংশ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যরা।
এছাড়া চুলকানি প্রতিরোধে মেডিসিন হিসেবে সরিষার তেল ও কেরোসিন হাত-পায়ে মাখানো হয়েছে। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস অংশ নিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ