ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেআইবি), গাইবান্ধা জেলা শাখার নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ডিকেআইবি জেলা শাখার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা বাতিলের দাবি করেন প্রার্থীরা।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ডিকেআইবি’র গাইবান্ধা জেলা শাখার নির্বাচন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জিয়াউল-ইদ্রিস ও মজিদ-মাহফুজ প্যানেল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম সনেট অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জেলা ব্যালটের গোলাপী রংয়ের ব্যালট পেপার আব্দুল মজিদ মাহফুজ প্যানেলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টুর মালিকানাধীন থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ প্রেসে ছাপানো হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ মজিদ-মাহফুজ প্যানেল অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সেগুলো কৌশলে ভোট বাক্সে ফেলে। নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৩৭টি, কাস্টিং ভোট দেখানো হয় ৩১৪টি। অথচ গণনার সময় ব্যালট পাওয়া যায় ৩৪৭টি। নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ৩ নভেম্বর ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় তফশীলের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিয়াউল হক, আব্দুর রাজ্জাক, ইদ্রিস আলী, আমিরুল ইসলাম সনেট, তানজিমুল হাসান, নয়ন মিয়া, আবু হাসান মানিক, নুর রব্বানী সবুজ, আরাফাত ইসলাম বেনজিন, তৌফিক ইমাম, আরেফিন হাসান চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান রিয়ন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিদ-মাহফুজ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মজিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো তারাই বগুড়া থেকে ব্যালট পেপার ছাপিয়ে এনে নির্বাচনের দিন পরিকল্পিতভাবে ভোট বাক্সে ব্যালট ফেলেছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক
