যশোরের জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকা পরিদর্শনকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালায় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, স্থানীয়দের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দিকেই হাঁটবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষের মূল দাবি আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত করা এবং নাব্যতা হারানো নদীগুলো খনন করা। সেটাই করা হবে।’ তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা অন্য কোনো সংস্থা এবার নিজেরা কোন মতামত আরোপ করবে না বলে তিনি জানান।
এলাকার মানুষের আরও কিছু দাবির প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুক্তভোগী মানুষের জন্য ত্রাণ প্রয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা তাদের কাছ থেকে যে ঋণ আদায় করছে সেটা শিথিল বা স্থগিত করার দাবিও রয়েছে’। এ ব্যাপারে তিনি ঢাকায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত দেন।
রবিবার অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের জলাবদ্ধ বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি বিমানযোগে যশোর পৌঁছে বেলা ১১টায় অভয়নগর উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কের আমডাঙ্গা খাল পরিদর্শন করেন। পরে খালের পাশে স্থানীয়দের সাথে বেশ কিছুক্ষণ মতবিনিময় করেন তিনি।
দুপুরে সেখান থেকে সুন্দলী ইউনিয়নের জলাবদ্ধ বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন ও জলাবদ্ধ নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেন। পরে ভবদহ এলাকার সবচে’ বড় ২১ ভেন্টের স্লুইস গেট পরিদর্শন ও হরি নদীর খননকাজ ঘুরে দেখেন। এসময় তার সাথে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দসহ জলাবদ্ধ এলাকার বিপুল সংখ্যক ভুক্তভোগী মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ভবদহ নিয়ে এর আগে কত প্রকল্প হয়েছে সেটা জানতে হবে’। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, ‘এতো প্রকল্প এতোবার হলে বারবার কেন এই সমস্যা ফিরে আসে?’ এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘পুরো জিনিসটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল