নেত্রকোনার মদনে নানা অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মমর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে মদন প্রেসক্লাবে গিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন নেতারা।
সোমবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে ইউএনও রেজওয়ান ইফতেখারের দাবি, লটারি ছাড়াই ৬ জনের মধ্যে ৩ জনকে অনৈতিকভাবে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ না দেয়ায় তাদের এই ধরনের কার্যক্রম।
জানা গেছে, মদন উপজেলা সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে। পরে মিছিলটি মদন প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার, সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপির সভপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়।
লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাঠ করে বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার বলেন, ভূমি কর্মকর্তা রেজওয়ান ইফতেখার মদন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে রয়েছেন। একই সাথে মদন পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে জলমহল ইজারা, ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। তিনি মদন পৌরসভা মেয়রের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকায় জনসাধারণের নাগরিক সেবা সঠিকভাবে দিচ্ছেন না। এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরামর্শ চাইলে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন।
এদিকে জানা গেছে গত ২২ অক্টোবর সাবেক ইউএনও বদলি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান রেজওয়ান ইফতেখার। প্রায় ৪০ দিনের কর্মদিবসে তিনি দায়িত্ব পান পৌর প্রশাসকেরও।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেজওয়ান ইফতেখার বলেন, মাত্র ৪০ দিনে এতো অনিয়ম কিভাবে করলাম নিজেও জানি না। তবে বিএনপির উপজেলা সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়েছেন উনার পছন্দের তিনজনকে নিয়ম ছাড়াই ওএমএসের ডিলার নিয়োগ না দেয়ায়। মাত্র ৬ জন ডিলারের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৬ টি। যা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে নিয়োগ হবে। সকল সেক্টরের প্রতিনিধি নিয়ে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু গত রবিবার সভাপতি মহোদয় সন্ধ্যার পর আমার এখানে এসে তিনজনকে ডিলার নিয়োগ দিয়ে বাকি ১৩ জনের মধ্যে লটারি করে বাকি ৩ জনের নিয়োগ দিতে চাপ দেন। বলেন, বিএনপির কথায় দেশ চলছে, আপনিও চলবেন। পরে বললাম এটি উন্মুক্ত লটারি, আমি এভাবে দিতে পারি না। এ নিয়ে তর্ক হলে আমি চলে যেতে বলি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল