ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের দুদিন পর শেখ আল কালাম আজাদ (৬১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী তিথি আক্তার (২৮), তার শ্বাশুড়ি ও মেগচামীর খালপাড়ি গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৮) নামে তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি বিল সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শেখ আল কালাম আজাদ মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের চরবামুন্দি ইয়াসিন আলী দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি মধুখালী উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ শিমুলের বাবা।
নিহত শিক্ষকের ছেলে তানভীর আহমেদ শিমুল জানান, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে মধুখালীর বিলআড়ালিয়া বাজার থেকে নিখোঁজ হন তার বাবা। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার মধুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন তিনি। তার বাবাকে একটি মোটর সাইকেলে করে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা বলে তিনি দাবি করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, জিডির সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী তিথি আক্তার (২৮), তার শ্বাশুড়ি ও মেগচামীর খাল পাড়িগ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৮) নামে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়।
আটককৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
মধুখালী থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান বলেন, এখনই এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। লাশ ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের জন্য এখনই সবকিছু বলছি না। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ