কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতান গ্রামে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পদ্মা নদীর চরে ধান ঢাকতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জহুরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় চরে আবাদ করে ধান চাষ করেছিলেন জহুরুল। বুধবার সকালে তিনি কাটা ধান জমিতে রেখে আসেন। দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হলে তিনি পলিথিন নিয়ে ধান ঢাকতে যান। এসময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ জানান, একসাথে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। আমি ও চাচা দুইজনই পড়ে যাই। পরে উঠে দেখি চাচার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আর শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।
স্থানীয় কলেজছাত্র ফিরোজ মাহমুদ বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে একই স্থানে জিয়ারুল নামে একজন যুবকও বজ্রপাতে প্রাণ হারান। আকাশে মেঘ দেখলেই সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ