গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে সোহেল হাওলাদার (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ফেরধরা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুকে তার কক্ষে ঢুকে মারধর করেন সোহেল। এ সময় হাসপাতাল কর্মীরা দরজা ভেঙে চিকিৎসককে উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহেলকে আটক করে।
চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ বলেন, ‘আমি জরুরি বিভাগে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। এক ব্যক্তি হঠাৎ রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করেন।’
জানা গেছে, গত ২৯ মে সোহেল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ছাদিয়া খানমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক না থাকায় ডেলিভারিতে বিলম্ব হয় এবং পরবর্তীতে মৃত সন্তান প্রসব করেন ছাদিয়া। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহেল ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার চিকিৎসককে মারধর করেন।
তবে ডা. অনুপম বাড়ৈ দাবি করেন, ‘রোগীকে আমি চিনতাম না, তার চিকিৎসাও করিনি। আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা গেছে, মৃত সন্তান প্রসবের আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।’
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাস জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ