রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৬০ মিলিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৯ সেন্টিমিটার। একই সময়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
কাউনিয়া উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা,তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ, শনশনিয়া, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁর চর ও নতুন করে চর নাজিরদহ ও নাজিরদহ গ্রামের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া গঙ্গচড়ার সাতটি ইউনিয়য়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামি একদিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী তিন দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে; আগামী ৩ দিন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে ও পরবর্তী ২ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, অপরদিকে আগামী ৫ দিন যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে; এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী ৫ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে; উক্ত নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী ৫ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।