রংপুরে বইছে তাপদাহ। বিদ্যুতের যাওয়া আসা চলছে ঘনঘন। লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এই অবস্থায় রংপুরের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা প্রতিদিন তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। সেই হিসাবে প্রতিমাসে ৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে অটো চার্জে। চলমান বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় অটোরিকশা চার্জ অনেকটা মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ৮ হাজার। এর মধ্যে অটো রিকশার ৫ হাজার এবং রিকশার ৩ হাজার। কিন্তু নগরীতে অটো রিকশা ও রিকশা চলছে ৩০ হাজারের বেশি। অবৈধ আটো রিকশা এবং অবৈধ চার্জে বিদ্যুতের ভোগান্তি বাড়ছে।
সূত্রে জানা গেছে, একটি অটোরিকশা চার্জ দিতে প্রতিদিন ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই হিসাবে এসব আটো চার্জ দিতে ২৫ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই হিসেবে প্রতিদিন প্রায় তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অটোরিকশা চার্জ দিতে চলে যাচ্ছে। প্রতিমাসে ৯০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার পিছনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরী আশপাশ এলাকায় প্রায় শতাধিক স্পটে অটোরিকশা বাণিজ্যিকভাবে চার্জ দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু অটো রিকশা চার্জার মালিক অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অটোরিকশায় চার্জ দিচ্ছেন। সুষ্ঠু মনিটরিং করলে অবৈধ চার্জ দেয়া বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন নগরীর সচেতন মহল।
নর্দাণ ইলেক্টিক সাপ্লাই নেসকো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি অটোরিকশা চার্জে প্রতিদিন ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। বিদ্যুতের একটি অংশ অটো চলে যাচ্ছে।