পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আল হাবিব (৬) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ, মাথায় ও পিঠে আঘাত করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ১০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুমে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই শিশু উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি গ্রামের ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি মো: আশরাফুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ৮ টায় শিলাইকুঠি বাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের বাথরুম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আল-হাবিবের মা হ্যাপী আক্তার বলেন, শিলাইকুঠি মাদ্রাসা মাঠে আসর নামাজের আগে থেকে স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে খেলছিলো হাবিব। আমার একমাত্র সন্তানকে বাড়ি আনার জন্য তাগিদ করি। কিন্ত ওই সময়ে বাড়িতে আসেনি। এর পর থেকে সে নিখাঁজ হয়। আসর নামাজের পর থেকেই আমার সন্তানের খোঁজ করতে থাকি। কিন্তু কোনো জায়গায় খোঁজ মিলছিলো না। রাত ৮ টার পরে জানতে পারি বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত বাথরুমে হাবিবের নিথর দেহটি পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তা সঠিক৷ আমার সন্তানকে যে হত্যা করছে তার বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত আল-হাবিবের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গলায় তার পড়নের শার্ট প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুমে ফেলে দিয়েছে। এটা পরিকল্পনা মাফিক হত্যা। যারা এই অমানবিক কাজ করেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। নিহত হাবিবের বাবা আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘ ২ বছর থেকে অসুস্থ। তার সন্তান হাবিবের হত্যার ঘটনাতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মুসা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। সঠিক উদঘাটন খুব শীঘ্রই করা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল