বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে। একাত্তরের এই মহান যুদ্ধকে দ্বিতীয় স্তরে নেওয়ার একটা চেষ্টা হচ্ছে। একে ভুলিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা লক্ষ্যণীয়। যারা এই সংগ্রামে সেদিন যোগ দিতে পারে নাই তাদের একটা প্রচ্ছন্ন ইচ্ছা যে একাত্তর মানুষ ভুলে যাক। কিন্তু কোনো সংগ্রামের কথাই তো মানুষ ভুলবে না। কারণ, এটি জাতীয় সংগ্রাম। অগণিত মানুষ, গ্রামে, গঞ্জে, শহর বন্দরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে এই মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর উত্তরায় একটি গণমাধ্যমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, একইভাবে শেখ হাসিনার এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে ছাত্র, যুবক, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে আমাদের দেশের জন্য গৌরবময় অধ্যায়। পৃথিবীতে কটা জাতি আছে বাঙালিদের মতো এত সংগ্রাম করতে পারে? আমরা নিজেদেরকে ছোট ভাবি। দরিদ্রকবলিত, দুর্নীতিবাজদের দেশ বলে মনে করতে পারি। কিন্তু এই দেশ তো আবু সাঈদের দেশ। এই দেশের মানুষ বুক পেতে যায়। হাসতে হাসতে মেশিনগানের সামনে বুক পেতে দিতে পারে। এই তো স্বাধীনতার রক্ষাকবচ।
তিনি আরও বলেন, আজকে সংস্কার নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। সব দল তো ঐকমত্যে আসতে পারে না, তাহলে তো আমরা একই দল থাকতাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেন? যে যার মত আদর্শ প্রচার করবে, জনগণ বেছে নিবে এদের মধ্যে সঠিক আদর্শ কোনটি। মিনিমাম একটা কনসেনসাস থাকার দরকার, সেটা তো আছেই। এই যে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে, দিস ইজ গুড এনাফ। এটা হলেই তো আমরা মনে করি যে একটা ঐকমত্য হলো। সুতরাং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কিছু নাই। আমাদের দেশে এই যে আবু সাঈদ এর মতো রয়েছে, বীর শ্রেষ্ঠরা রয়েছে, যারা জীবন দিয়ে এই দেশটি প্রতিষ্ঠা করেছে, আগামী দিনগুলো এই আবু সাঈদ মুগধরাই বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ