দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে আমাকে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হয়, বিশেষ করে কোম্পানির স্বার্থ যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কোম্পানির স্বার্থ, দেশ বা সমাজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়, তাই ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশের আইন, বেস্ট প্রাকটিস ও আমাদের সকল স্টেকহোল্ডারের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত হয় সেইটা নিশ্চিত করা একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে মনে করেন ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ইলিয়াস আহমেদ।
তিনি বলেন, কোম্পানির দুইটি বিষয়কে আমি প্রাধান্য দেই। প্রথমত, কোম্পানির একজন ‘বিসনেস পার্টনার’ হিসেবে, যাতে করে কোম্পানির বাৎসরিক বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। পরের বিষয়টি হচ্ছে কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা এবং গুড গভর্নেন্সের সাথে শক্তিশালী কম্পিলিয়ান্স ব্যবস্থাপনা।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ম্যারিকোতে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি কোম্পানি তার নিজস্ব সংস্কৃতি বা কালচার, পলিসি ও প্রাক্টিসেসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার মাধ্যমে অনেক দেশ ও মানুষের সাথে একযোগে কাজ ও তাদের কাজের ধরণ সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পেয়েছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নতুন কিছু জানার, শেখার ও নতুন কিছু করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, ম্যারিকো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পলিসি ও প্রাক্টিসেস দ্বারা পরিচালিত হয়। আমাদের কর্মী-কল্যাণ উদ্যোগগুলো ম্যারিকো-কে কর্মী বান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করেছে।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের এই চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বাস্তবতায় ‘গ্রো বিয়ন্ড’ ধারণাটি সম্পর্কে বলেন, উন্নয়ন মানেই একটি যাত্রা এবং গত ১০ বছরে উন্নয়নের যাত্রায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বোচ্চ হার।
করোনার করালগ্রাস থেকে কিভাবে ম্যারিকোকে সামলেছেন এমন প্রশ্নে ইলিয়াস আহমেদ বলেন, কোভিড আমাদের ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত জীবনে আরও অনেক মানবিক হতে শিখিয়েছে। একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং আমাদের সদস্যদের সুস্থতা নিশ্চিত করা।
তরুণদের ভবিষ্যতে একজন দক্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হওয়ার ব্যাপারে তার পরামর্শ হল- আপনি যা চাইছেন তার উপর মনোযোগী হোন, নিজের সেরাটি দিন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। আর কঠোর পরিশ্রম করুন, কারণ সফলতার কোন শর্টকাট নেই। এছাড়াও যারা কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করতে চায়, বিশেষ করে তরুণরা, তাদের উচিৎ সর্বপ্রথম তাদের পছন্দটিকে বেছে নেওয়া, সেদিকে পূর্ণ-মনোযোগী হওয়া এবং কঠোর পরিশ্রম করা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর