সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেছেন, সোনালী ব্যাংকের আড়াই কোটি গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমাও দিতে পারবেন। ফলে গ্রাহক ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো স্থান থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করার আরও স্বাধীনতা পেলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে এ যৌথ সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে সোনালী ব্যাংকের এক হাজার ২২৫টি শাখার সব গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরও সহজ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হলো। একই সাথে বিকাশের মাধ্যমে ছোট অংকের এসব লেনদেন সুবিধা ব্যাংকের শাখাগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে দিয়ে বিশেষায়িত সেবার জন্য সেখানে আসা গ্রাহকদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করলো। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে অনলাইন সেবার মাধ্যমে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ফ্রি চার্জ আদায় করার লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে নওগাঁর ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথাগুলো বলেন তিনি।
রবিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সিহাব রায়হান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস, রাজশাহী কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন, মোস্তফা আলী সিদ্দিকী, সোনালী ব্যাংক নওগাঁ প্রিন্সিপাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আহসান রেজা, রাজশাহী অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোরশেদ ইমাম, প্রধান কার্যালয়ের এজিএম জহিরুল ইসলাম, আল মামুন, সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখার ম্যানেজার হাফিজার রহমানসহ জেলার ১০০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নওগাঁ জিলা স্কুলে “স্কুল ব্যাংকিং ডে” উদযাপন করে শিক্ষার্থীদের হিসাব খোলা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন