১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩৪
১২তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব মধ্যম আয়ের দেশকে সহযোগীতার স্বীকৃতি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব মধ্যম আয়ের দেশকে সহযোগীতার স্বীকৃতি

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সবসময় অনুন্নত দেশগুলোকে ভর্তুকির মাধ্যমে সহযোগীতার কথা বলা হলেও মধ্যম-আয়ের দেশগুলোকে এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ ধরনের সহযোগীতার কথা আগে আলোচনায় আসেনি। তবে এবারই প্রথম এ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ সকল মধ্যম আয়ের দেশকে সহযোগীতার করার নীতিগত স্বীকৃতি পেয়েছে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে। এতে করে ভবিষৎতে আরো বিশদ আলোচনার একটি ক্ষেত্র তৈরি হলো বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

গভীর সমুদ্রে অবাধে মৎস্য শিকারে ভর্তুকি, কৃষিতে ভর্তুকি, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখা- ইত্যাদি বিষয়ে সম্মেলনের ফলাফল স্বারণীতে স্থান পায়। তবে বক্তারা জানন, এসব কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।

দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ১৩ আগস্ট ডব্লিউটিও ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ফলাফল' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) শরিফা খান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবি প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাৎ হোসেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কাউন্সিল মেম্বার মো. হুমায়ুন কবীর আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। সূচনা বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র সিইও শুভাশীষ বসু। 

অতিথি বক্তা হিসাবে অংশগ্রহণ করেন ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম, বিএফটিআই সাবেক সিইও শিশির কুমার দেব, 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান।

শরিফা খান বলেন, সবছিু ঠিক থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। এসময় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার আর থাকবে না। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য দেশ অভ্যন্তরীন সম্পদ আহরণের সাথে সাথে বহির্বিশ্বে সফল বাণিজ্য নেগোশিয়েশন চালিয়ে যেতে হবে।

সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠকের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল তার সংক্ষিতসার তুলে ধরে বলেন, ভু-রাজনৈতি প্রেক্ষাপট চিন্তা করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও)-র  ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ প্রথমবারে মতো সক্ষম হয়েছে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ সকল মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সহযোগীতা করার নীতিগত স্বীকিৃতি পেয়েছে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ; যেটি আগে কোনো সম্মেলনে এ ধরনের আলোচনা করাই হতো না।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর