২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৪২

পুঁজিবাজারে লেনদেনের রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক

পুঁজিবাজারে লেনদেনের রেকর্ড

পুঁজিবাজারে আবারও রেকর্ড পরিমান লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এটি পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। লেনদেনের এই পরিমান গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ডিএসইতে দুই হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছিল। এটি পুঁজিবাজারের ইতিহাসে ডিএসইতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। আর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড হয়েছিল ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন ডিএসইতে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা শেয়ার কেনাবেচা হয়। এছাড়াও ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসইতে ২ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা এবং গত ৫ আগস্ট ডিএসইতে ২ হাজার ৫১১ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যা একদিনে ইতিহাসে যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ট সর্বোচ্চ লেনদেন।

এদিকে সোমবার ডিএসইতে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হলেও দিনশেষে মূল্য সংশোধন ও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ তোলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে সূচক কিছুটা কমেছে, সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। যদিও দিনভর ডিএসইতে সূচকের ঊর্ধমুখী প্রবণতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বাজার ছিল ঊর্ধমুখী। 

দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে উন্নীত হয়। তবে সূচকের এই ঊর্ধমুখী প্রবণতা দিনশেষে ধরে রাখা যায়নি। যদিও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধমুখী দিয়েই শেষ হয়েছে লেনদেন।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৪৩ কোটি ১৬ হাজার ২৭৯টি শেয়ার ও ইউনিটেরে লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৫টির। 

এদিন ডিএসই প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসইএ-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪০১ পয়েন্টে নেমে আসে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর