মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইতিহাস

নোবেলজয়ী কিসিঞ্জার

উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লি ডাক থোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার ফলাফল হিসেবে ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে প্যারিস শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ’৭৩ সালের ডিসেম্বরে টাইম ম্যাগাজিনের ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন হেনরি কিসিঞ্জার। কিসিঞ্জারের অনেক সমালোচকের মতে তার কারণেই ভিয়েতনামের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছিল, কম্বোডিয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বিস্তৃত হয়েছিল এবং কম্বোডিয়ায় খেমাররুজের উত্থান ঘটেছিল।

খোদ ঘরের পাশের মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকাকেও ছাড়েননি কিসিঞ্জার। চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে উৎখাতেও ইন্ধন জুগিয়েছিলেন কিসিঞ্জার। ‘কট্টর মার্কসবাদী’ সন্দেহে আলেন্দে মার্কিন নেতাদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। তাকে সরাতে চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে ’৭৩ সালে। আর সেই অভ্যুত্থানের পেছনে বাইরে থেকে কলকাঠি নাড়ে কিসিঞ্জারের আমেরিকা। আলেন্দের স্থলাভিষিক্ত হন মার্কিনমুখী সেনাপ্রধান অগাস্তো পিনোচেট। পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানেও কিসিঞ্জার ভূমিকা রেখেছিলেন। এ ছাড়া আর্জেন্টিনা, সাইপ্রাস, পূর্ব তিমুর ইত্যাদি দেশের সঙ্গেও বিভিন্ন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি। ’৭৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন হেনরি কিসিঞ্জার। এই সময় তার ইচ্ছাতেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পরিবর্তন আসে। ‘শাটল ডিপ্লোম্যাসি’ (একাধিক রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা) নামে পরিচিত এই কূটনৈতিক প্রয়াসে কিসিঞ্জার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আরব দেশগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসন সম্পর্কিত আলোচনায় সহায়তা করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর