মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও তার প্রাসঙ্গিকতা

ইনাম আহমদ চৌধুরী

মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও তার প্রাসঙ্গিকতা

স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে মরহুম চৌধুরীর ৯২তম জন্মজয়ন্তী পালিত হয় ১১ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সানুগ্রহ উপস্থিতিতে একটি ব্যতিক্রমী সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে। জনাব চৌধুরীর তিরোধানের ১৮ বছর পর গভীর শ্রদ্ধাভরে এ স্মৃতি তর্পণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সমাজে কখনো কখনো এমন কারও কারও আবির্ভাব হয়, যাদের সান্নিধ্য ও সাহচার্য শুধু যে প্রীতিপ্রদ হয় তা নয়, তা উদ্দীপক ও শিক্ষামূলকও হয়ে ওঠে। মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সেই বিরল প্রজন্মেরই একজন, বাংলাদেশের সামাজিক, আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে যার নাম থাকবে চিরভাস্বর।

চরম একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিপদাকীর্ণ পরিস্থিতিতে কী করে অবিচল ধৈর্য আদর্শতাড়িত হয়ে নীতিনিষ্ঠ ও বিবেকবান আচরণ নির্ভয়ে করার সৎসাহস রাখা যায় তার ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছিলেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জ্ঞাতার্থে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং হুমায়ুন রশীদ স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. নজিবুর রহমানের প্রশংসনীয় এ উদ্যোগকে তাই আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমাদের সমাজে, ‘তবুও মানুষ আছে, মানুষ যদিও বিরল/বুকে যার উদ্বেলিত মানুষের যন্ত্রণার ঢল/সমুদ্র-গভীর ভালোবাসা/যা তাকে উদ্বুদ্ধ করে সবকিছু তুচ্ছ করে’ বিবেকতাড়িত অভীষ্ট সিদ্ধিতে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে। প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জীবনের এ বাণীকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যায় না। একটি শিক্ষিত আলোকিত প্রগতিশীল পারিবারিক পটভূমে হুমায়ুন রশীদের জন্ম হয়েছিল সিলেটে, ১৯২৮ সালে। তার মা বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন নারীমুক্তি ও নারী শিক্ষা বিস্তারে এক খ্যাতনামা অগ্রপথিক। বাবা মরহুম আবদুর রশীদ ছিলেন আসাম সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। পরে চাকরি ত্যাগ করে তিনি চা-শিল্পে জড়িয়ে পড়েন। বাবা-মা দুজনই সমাজকল্যাণমূলক কাজে এবং প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন।

শিলংয়ে স্কুল অধ্যয়ন এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্ব শেষে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে ইনার টেম্পলে ব্যারিস্টারি অধ্যয়ন মানসে যোগদান করেন এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সংযুক্ত ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন। তিনি ব্রিটেনের পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশনের প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব স¤পাদন করেন। তার উদ্যোগেই পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে লন্ডনে প্রথম এশীয় ছাত্র কনফারেন্স সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৫৩ সালে তিনি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। শিক্ষানবিশকালীন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা টাফ্ট্স্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসিতে অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভ করেন। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আয়োজিত সুপরিকল্পিত ট্রেনিং প্রোগ্রামের মধ্যে ছিল ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসে শিক্ষামূলক সংযুক্তি, বিভিন্ন সরকারি বিভাগে ট্রেনিং, পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তান পরিচিতি সফর এবং বিদেশি ভাষা শিক্ষা। হুমায়ুন ভাইয়ের অবশ্য ভাষা-শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ ও দক্ষতা ছিল। তিনি ইংরেজি-বাংলা ছাড়াও উর্দু, ফরাসি ও ইতালিয়ান ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। আরবি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, জার্মান ও ভাষা ইন্দোনেশিয়াতেও তার গ্রহণযোগ্য ব্যুৎপত্তি ছিল। পাকিস্তান সরকারের অধীনে তিনি রোম, বাগদাদ, প্যারিস, লিসবন, জাকার্তা দূতাবাস ও দিল্লি হাইকমিশনে দায়িত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, যেখানেই তিনি পোস্টেড ছিলেন, সে দেশের ভাষা তিনি রপ্ত করতেন। এটা তার গভীর দায়িত্ববোধের এবং কর্মে উৎকর্ষতা লাভের প্রচেষ্টার পরিচায়ক। ১৯৭১ সালে তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে কর্মত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েই দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার্স বা হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত নিযুক্ত হন। সেখানে তিনি অন্যান্য দেশ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করে যান। আমার মনে আছে, ১৯৭২ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি মিশনের সদস্য হিসেবে সদ্যনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি এবং কতিপয় জরুরি দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনার জন্য দিল্লি যাই, তখন দেখেছি ভারতীয় সরকারের সব স্তরেই তার কার্যকর যোগাযোগ এবং অনুকূল প্রভাব ছিল, যা আমাদের কর্তব্য সম্পাদনে বিশেষ সহায়ক হয়। বলা বাহুল্য, সদ্যকারামুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন লন্ডন থেকে ঢাকার পথে দিল্লিতে স্বল্পবিরতি করেন। এর সার্থক আয়োজনে মিশনপ্রধানের যথেষ্ট অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানিতে নিযুক্ত হন। তখন তিনি অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডেও রাষ্ট্রদূতের যুগপৎ দায়িত্ব পালন করেন। জনাব হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সৌদি আরবেও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তখনো তিনি জর্ডান ও ওমানে যুগপৎ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও জুন ১৯৮২-তে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট এরশাদের ক্ষমতাকালীন তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অষ্টম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তরাষ্ট্রীয় আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্দশ অধিবেশনের তিনি ছিলেন সভাপতি। ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি তাকে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদকে বিভূষিত করে। বস্তুতপক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন বিবদমান স্থানে শান্তি স্থাপনের জন্য তার নিজস্ব অবস্থান থেকে তিনি যথাসাধ্য ও সার্থক অবদান রাখতে সদাসচেষ্ট ছিলেন। তিনি উ থান্ট শান্তি পদক ও বাংলাদেশ সরকার থেকে পরবর্তীতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

সরকারি দায়িত্ব সম্পাদন করার পর অবসরে তিনি ঢাকায়ই বসবাস শুরু করেন। তখন তিনি ‘কমনওয়েলথ সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেন এনং সংস্থাটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই সোসাইটি বেসরকারিভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার জন্য যোগাযোগ রাখতে একটি উল্লেখজনক ভূমিকা পালন করে। এই সোসাইটি স্থাপনকালে তার সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ ও সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। পরবর্তীতে তার সুযোগ্য কন্যা নাসরিন রশীদ সোসাইটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এই সোসাইটির কার্যক্রমের সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলাম এবং পাঁচ বছর সোসাইটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করি। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমেও ছিল তার উৎসাহ। জনাব চৌধুরী পরে রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। বিএনপির শেখ রাজ্জাক আলীর পর তিনি ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু এ পদেই অধিষ্ঠিত ছিলেন। বলা বাহুল্য, পরম দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে সবারই সশ্রদ্ধ আস্থা অর্জনে সমর্থ হন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হুমায়ুন রশীদ জীবনের সব ক্ষেত্রেই সাফল্যের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন আন্তরিকভাবে জনদরদি একজন নীতিনিষ্ঠ অকুতোভয় দেশপ্রেমিক। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, সুবিধা পেয়েছেন সমাজের বঞ্চিত-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যথাসাধ্য এগিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে তার একটি গভীর দায়বদ্ধতার বোধ ছিল তা যারা তার সান্নিধ্যে এসেছেন, তারা সম্যক উপলব্ধি করতে পারতেন। কোম্পানীগঞ্জ তুলনামূলকভাবে একটি অবহেলিত উপজেলা ছিল। সিলেট-১-এর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এমপি হিসেবে তিনি কোম্পানীগঞ্জের এবং সমগ্র নির্বাচনী এলাকার বিপুল উন্নয়নকর্মে ব্রতী হন। যেখানে যে পদে বা যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, সাহায্য ও সহযোগিতার হাত তার ছিল সতত-প্রসারণশীল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে ছিল তার অবিচল নিষ্ঠা ও বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল তার প্রগাঢ়তম শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা। মানুষের চরিত্রের পরীক্ষা হয় কোনো বিপদকালে বা প্রতিকূলতার মুখোমুখি অবস্থায়। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে ঘটেছিল জাতির জীবনের কলঙ্কতম ও নিষ্ঠুরতম ট্র্যাজেডি। বিশ্বাসঘাতক কতিপয় দুর্বৃত্তের বর্বরোচিত পাশবিক হামলায় জাতি হারিয়েছিল তাদের পিতাকে, মাতাকে। জনকল্যাণে চিরনিবেদিত সেই প্রাতঃস্মরণীয় পরিবারের কেউই রক্ষা পাননি সেই নরঘাতকদের ঘৃণ্য ছোবল থেকে। আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে। ওই সময় দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এবং রাষ্ট্রীয় সুবিধাপ্রাপ্ত অনেকেরই অগ্রহণযোগ্য গর্হিত আচরণ আমাদের দারুণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে, নিরাশ করেছে, হতবুদ্ধি করেছে। কিন্তু সেই ক্রান্তিলগ্নে নির্ভয় হুমায়ুন রশীদ প্রকৃত দেশপ্রেমিকের মতো স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এগিয়ে এলেন পরম শোকাহত ও চরম বিপদগ্রস্ত বঙ্গবন্ধুতনয়াদের সহায়তা প্রদানে। সে কাহিনি আজ সবার জানা। প্রাথমিক সহযোগিতার সেই আনুকূল্যের মূল্য ছিল অপরিসীম। বাঙালি জাতির জন্য তা হয়ে দাঁড়াল সর্বোচ্চ আশীর্বাদ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা তার অগাধ দেশপ্রেম, জাতির প্রতি তার গভীর দায়বোধ, তার অনমনীয় দৃঢ়তা, আদর্শনিষ্ঠা ও অতুলনীয় নেতৃত্বদান ক্ষমতায় সেই ভয়াবহ শোককে বাস্তবিক অর্থেই রূপান্তরিত করলেন অমিত শক্তিতে। তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী জনকল্যাণকামী নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ জাতি আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে ধাবমান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসরমান। মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের ক্ষণে এসব কথা মনে পড়ে বৈকি! এটাই তো তার সার্থক জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর কত মহান, কত বিরাট এই প্রাপ্তি। অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে তার মহান স্মৃতিকে ধরে রাখার যে মহতী উদ্যোগ হুমায়ুন রশীদ স্মৃতি পরিষদ নিয়েছে, তা সফল হোক, সার্থক হোক- এই কামনা।          

লেখক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য।

সর্বশেষ খবর