শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

মন্ত্রিত্ব মিডিয়া ও আয়রন লেডির নিঃসঙ্গতা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
মন্ত্রিত্ব মিডিয়া ও আয়রন লেডির নিঃসঙ্গতা

রাহুল গান্ধীকে পটিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছ। সাংস্কৃতিক জগৎ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে পারে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ছিলে, ভারতের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কীভাবে কাজ করবে? তোমার কোনো অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, যোগ্যতা নেই। এভাবে দিল্লির একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদকে। সময়টা ২০১২ সাল। দিল্লিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনিয়র সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে দুজন। সিনিয়র সাংবাদিক প্রয়াত জাহাঙ্গীর ভাই আর আমি। সাত দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিকে এলেন সালমান খুরশিদ। মাত্র দুই দিন আগে তিনি কংগ্রেস সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ। সিদ্ধান্ত হয় আমাদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠকের আগে কথা বলবেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। তারপর কনফারেন্সে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়। ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা থাকতে পারব। কিন্তু কোনো প্রশ্ন করতে পারব না। শুনতে পারব। আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রশ্ন করতে পারব যে কোনো বিষয়ে। মতবিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকবর উদ্দিন। তিনি একজন ডাকসাইটে কূটনীতিক। মিডিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের নাম ধরেই প্রশ্ন করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের কড়া কড়া প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছিলেন সালমান খুরশিদ। উত্তরও দিচ্ছিলেন হাসিমুখে। পাশে বসে থাকা জাহাঙ্গীর ভাইকে বললাম, এমন প্রশ্ন আমাদের দেশে করলে সাংবাদিক হতেন নাজেহাল। আর আকবর উদ্দিনের স্থলে থাকা কর্মকর্তা হতেন বদলি। তিনি হাসলেন। বললেন, যত দিন যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে মিডিয়া পরিস্থিতি। অনেক সময় নিজেরাও প্রশ্নের পরিবর্তে তোষামোদে জড়াই আমরা। সমস্যা দুই দিকেই। আবার বাস্তবিক প্রশ্ন করার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্টরাও ভালোভাবে নেন না। আমাদের কথার ফাঁকে উত্তর দিলেন সালমান খুরশিদ। তিনি প্রশ্নকারীকে ধন্যবাদ জানালেন। তারপর বললেন, তুমি সঠিক প্রশ্ন করেছ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমি একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী। আমার দলের নির্দিষ্ট ম্যানিফেস্টো রয়েছে। সরকারের রয়েছে নির্দিষ্ট পররাষ্ট্র নীতিমালা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক দক্ষ কর্মকর্তা আছেন। তাঁরা সরকারের নীতিমালাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে আমাকে সহায়তা করবেন। আর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলো কিনা আমি সমন্বয় ও মনিটরিং করব। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেব। কেউ ভুল করলে ধরিয়ে দিয়ে সংশোধন করব। আশা করছি মন্ত্রণালয় চালাতে সমস্যা হবে না।

আরেকটি ঘটনা মনে পড়ছে। ২০০৬ সালে স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলাম। এক মাসের কর্মসূচি ছিল। এ কর্মসূচিতে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয় বিদেশি সাংবাদিকদের। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সাত সাংবাদিক ছিলাম। স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পেন্টাগন, বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, কোনো কিছুই বাদ ছিল না। একদিন আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় আলজাজিরার ওয়াশিংটন অফিসে। বিখ্যাত সাংবাদিক রিজ খানসহ অনেকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হয়। বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করি। একপর্যায়ে আমি জানতে চাই- মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলজাজিরার সম্পর্কটা ভালো নয়। ইরাক ও আফগান যুদ্ধকে ঘিরে এ দূরত্ব বেড়েছে। পশ্চিমা মিডিয়া করছে এক ধরনের খবর, আলজাজিরা আরেক ধরনের। বিশ^বাসীর কাছে আলজাজিরা অধিক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ওয়াশিংটনে বসে কাজ করতে সমস্যা পোহাচ্ছে কিনা আলজাজিরা। জবাবে তারা বললেন, না, কোনো সমস্যা নেই। বরং মজা পান তারা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে। একদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইসকে আলজাজিরার সাংবাদিক মাইক্রোফোন এগিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে তিনি বললেন, আই হেইট আলজাজিরা। তারপর কথা না বলে হন হন করে হেঁটে চলে যান। আলজাজিরার সাংবাদিকও এটুকু নিয়েই ফিরলেন, আই হেইট আলজাজিরা। এ ছাড়া তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি। আলজাজিরা অফিসে দীর্ঘক্ষণ ছিলাম। তাদের কাজের ধরনগুলো দেখলাম।

পুরনো দিনের মিডিয়াস্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর একটি কথা। ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘ভাত কাপড় পাবার ও আদায় করে নেবার অধিকার মানুষের থাকবে, সাথে সাথে নিজের মতবাদ প্রচার করার অধিকারও মানুষের থাকা চাই। তা না হলে মানুষের জীবনবোধ পাথরের মতো শুষ্ক হয়ে যায়।’ বঙ্গবন্ধু মানুষকে বুঝতেন। মানুষের মন বুঝতেন। আর বুঝতেন বলেই এত বড় বিশালত্ব তৈরি করতে পেরেছিলেন। হিমালয়-উচ্চতা নিয়ে স্বাধীন করতে পেরেছিলেন এ দেশকে। মানুষের জীবনের সব হিসাব-নিকাশ এক রকম মিলবে না। মত ও পথের অনেক ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু সবকিছু নিয়েই চলতে হয় আমাদের। সময় পরিবেশ পরিস্থিতি সব সময় এক রকম থাকে না। কিন্তু সময়কে জয় করে এগিয়ে চলার আনন্দটাই আলাদা। চলার পথে অনেক বাঁক থাকে। কিন্তু বাস্তবতাকে পাশ কাটালে চলে না। জানি, রাজনীতি তার মতো করেই চলবে। সবাই সমান হবে এমনও নয়। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে যার যার অবস্থান আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকাটা জরুরি।

নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে ক্ষমতার রাজনীতিতে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। দক্ষ নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে পরিষ্কারভাবে তিনি এ বাস্তবতাগুলো তুলে ধরেছেন। এ ব্যাপারে খুলনার একটি ঘটনাও আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে। কাজ করার সঙ্গে ক্ষমতার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে। ক্ষমতা না থাকলে কীভাবে কাজ করবেন? এখন মন্ত্রীর কাজটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি বা সাবেক মন্ত্রীর পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই ক্ষমতাবানদের ধৈর্য নিয়েই কাজে মনোনিবেশ থাকা জরুরি। ক্ষমতায় গিয়ে কাজ করার সৌভাগ্য সবার হয় না। আবার উড়ে এসে জুড়ে বসারা কোনোকালেই আদর্শিক রাজনীতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। অনেক সময় প্রতিকূল পরিবেশ অনেককে ক্ষমতার সুযোগও দেয় না। ভাগ্য কিছু মানুষের সঙ্গে খেলে থাকে। এমনই হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ ফ ম মাহবুবুল হকের ক্ষেত্রে। সারাটা জীবন শুধু লড়াই করেছেন। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাননি অথবা মেলাতে পারেননি। ডাকসু নির্বাচন করলেন। জয়ী হলেন। ঘোষণা পাননি। ’৯১ সালের ভোটে নোয়াখালীর চাটখিল থেকে পরাজিত হন মাত্র দুই শর কম ভোটে। জয়ী হন বিএনপির সালাহ উদ্দিন কামরান। মাহবুবুল হকের এমপি হওয়া হলো না। ডাকসুর ভিপি হওয়া হলো না। কোনো আফসোস ছিল না জীবনে। রাজনীতি করেছেন আদর্শিক অবস্থান থেকে। কষ্ট করে চলতেন। বুঝতে দিতেন না অন্যকে। বাসে চড়তেন। বন্ধুরা সহায়তা করতে চাইলে নিতেন না। শেষ বয়সটা ছিল ট্র্যাজিক। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। হারিয়ে যায় স্মরণশক্তি। কানাডা নিয়ে গেলেন স্ত্রী, সন্তান। আর ফিরে এলেন না দেশে। বছরখানেক আগে চলে গেলেন চিরতরে।

মানুষের জীবনটা খুবই কম সময়ের। আজ আছি, জানি না কাল থাকব কিনা। করোনাকাল অনেক কিছু ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। দুই দিন আগে চলে গেলেন আমার পাশের গ্রামের একজন মানুষ সাইফ উল্লাহ মিয়াজি। বিএনপির রাজনীতি করতেন। কেন্দ্রের দফতর সম্পাদক ছিলেন। বাসা ছিল নয়াপল্টনে। ’৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর একদিন ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার তাকে নিয়ে গেলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। বেগম জিয়া এই মানুষটাকে পছন্দ করতেন। সালাম তালুকদারকে তিনি বললেন, মিয়াজিকে নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্রদূত করে দিন। মোস্তাফিজ সাহেবকে আমার কথা বলুন। অনেক কষ্ট করেছে, ঘুরে আসুক। মিয়াজি বললেন, ম্যাডাম! আমি দুঃসময়ে দলের অফিস সামাল দিয়েছি। মহাসচিব যেভাবে বলেছেন, কাজ করেছি। আপনি যা বলেছেন শুনেছি। আমাকে এই ছোটখাটো স্থানে কেন পাঠাবেন! দিলে ভালো কিছু দিন। তিনি ইংগিত করলেন মন্ত্রিসভার দিকে। এ গল্প মিয়াজি সাহেবের কাছে শোনা। তখন কাজ করি ভোরের কাগজে। তিনি আমাদের নয়াপল্টনের অফিসে এলেন। জানিয়ে গেলেন বড় কিছু পাচ্ছি। তাকে বলেছিলাম, ঘরের লক্ষ্মী ঠেলে দিলেন কেন? বাকি জীবন কিছু পাবেন বলে মনে হয় না। ক্ষমতার রাজনীতি বড় জটিল। তিনি আমার কথায় ব্যথিত হলেন। বললেন, আপনাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পুরাতন সম্পর্ক। আপনি আমাকে অবমূল্যায়ন করেছেন। আমার সম্পর্কে ধারণা নেই আপনার। মিয়াজি সাহেব শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে আর কিছু পাননি। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি ছাড়েননি। আদর্শিক অবস্থানটা ধরে রেখেছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। সবাই এভাবে পারে না। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-নিকাশ বড় নিষ্ঠুর। হিসাব মেলাতে গিয়ে অনেকে ছিটকে পড়েন। চলে যান অনেক দূরে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই এখন আক্ষেপ করেন। বঞ্চনার কথা বলেন। সেদিন এক নেতা বললেন ঢাকার উত্তরার শূন্য আসনটি নিয়ে। এ আসনটিও চায় বিজিএমইএ। রাজনীতিতে বিজিএমইএ ভালো করছে। গার্মেন্টের আগামীর চেয়ে বিজিএমইএ নেতারা রাজনীতিতে এখন অনেক বেশি আগ্রহী। সরকারি দলও তাদের প্রাধান্য দিচ্ছে। উত্তরার আসন কে পাবেন জানি না। বিজিএমইএ নেতাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিস্মিতও হব না। নেতা তৈরিতে এখন ছাত্রলীগ, যুবলীগের চেয়ে বিজিএমইএ এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। এমনই হয়। সরকারে এক, বিরোধী দলে আরেক রাজনীতি। আওয়ামী লীগে এখন ব্যবসায়ীদের কদর। মন্ত্রিসভা, সংসদ সবখানে ব্যবসায়ীরাই বেশি। রাজনৈতিক কর্মীদের দরকার হয় বিরোধী দলে থাকতে। সরকারে তাদের না হলেও চলে। সরকার চলে অতি উৎসাহী আমলা, ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ দিয়ে। আর বিরোধী দলে দরকার কামলা। যা করেন সব কর্মীরা। দুঃসময় এলে তারাই থাকেন। সুযোগসন্ধানীরা থাকে না। ক্ষমতার রাজনীতির খারাপ দিক নেতাদের কোন্দল। পোড় খাওয়া নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অকারণে লড়াই করেন। তখন সুযোগটা নেন বহিরাগতরা। সমস্যাটা এখানেই তৈরি হয়। নিজের ঘরের আগুনে পুড়ে রাজনীতিবিদরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। নিজেদের ভুল নিজেরা বুঝতে পারেন না।

রাজনৈতিক সরকারে দরকার দক্ষ কিছু মন্ত্রী। যারা সরকারের নীতিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবেন। অনিয়ম-অব্যবস্থাকে কঠোরভাবে মনিটরিং করবেন। সরকারকে সঠিক পথে চলতে কাজ করবেন। মাঠের নেতা-কর্মীদের দরদ দিয়ে আগলে রাখবেন। গণতন্ত্রের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদে রাজনীতিকে রাখতে হয় রাজনীতিবিদদের কাছে। নিজের লোকেদের সঙ্গে গ্যাপ না থাকাই ভালো। ইতিহাস তা-ই বলে। ইতিহাসের নানা মেরুকরণ আছে। হিসাব-নিকাশ আছে। চলার পথে অনেক সংকট আছে। অনেক জটিলতা আছে। তবু পথ চলতে হয় বাস্তবতাকে সামলে। এখানে গরমিল হলেই বিপদ আসে হুট করে; যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়।

 

এই লেখা শেষ করছি মার্গারেট থেচারের বিপাকে পড়ার বাস্তবতা নিয়ে। ক্ষমতার রাজনীতিতে দলের সঙ্গে দূরত্বে সংকটে পড়েছিলেন মার্গারেট থেচার। সবচেয়ে কঠোরতম শাসক বলা হতো তাঁকে। বিরোধী পক্ষ, কঠোর শ্রমিক আন্দোলন মোকাবিলা করেন তিনি হাসতে হাসতে। কিন্তু নিজ দলের সঙ্গে দূরত্বই কাল হয়ে যায় তাঁর। মার্গারেট থেচারকে বলা হতো ব্রিটেনের সর্বকালের সেরা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮১ সালে জনমত জরিপের ফলাফল থেচারের কনফিডেন্স আরও বাড়িয়ে দেয়। থেচার চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করতেন। অবশ্য চ্যালেঞ্জের মাঝেই তাঁর রাজনৈতিক বিকাশ। ১৯৭৫ সালে রক্ষণশীলদের নেতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। তাঁর সরকারের শিক্ষামন্ত্রী থেচার। শিক্ষা খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি লাইমলাইটে আসেন। থেচার হঠাৎ ঘোষণা দেন নেতৃত্ব নিয়ে লড়বেন হিথের বিপক্ষে। হইচই পড়ে যায় ব্রিটেনে। লড়াই শুরু হয় দলের ভিতরে। ব্রিটিশ মিডিয়ার কৌতূহলী চোখ গিয়ে পড়ে থেচারের ওপর। ব্রিটেনে একজন নারীর প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা অনেকের কাছে ছিল বিস্ময়ের। হিথ তখন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না আমার জীবদ্দশায় কোনো মহিলা ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ হিথের এ অবজ্ঞা থেচারকে আরও জেদি করে তোলে। তিনি মাঠে নামেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের লড়াইয়ে হিথ হারলেন মার্গারেট থেচারের কাছে। দলের নেতৃত্বকে গতিশীল করে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে থেচার জিতলেন। হলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী হয়েই আর্জেন্টিনার সঙ্গে বিরোধে থাকা ফকল্যান্ড দ্বীপ দখলে নেন। এ যুদ্ধজয়ে মার্গারেট থেচারের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায় ব্রিটেনে। এরপর তিনি নজর দেন দেশের ভিতরে। কমিউনিজমের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেন। জনপ্রিয় করে তোলেন বাজার অর্থনীতি। ১৯৮৩ ও ’৮৭ সালে আাবার ভোটে জয়ী হন। বারবার জয়ে থেচারের বিশাল উচ্চতা তৈরি হয় বিশ^ব্যাপী। কিন্তু ’৮৭ সালে জয়ের পর জনগণ ও দলের সঙ্গে গ্যাপ বাড়তে থাকে। এ নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয় ‘আয়রন লেডি’। ছবিটি অস্কার পায়। থেচার চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করেন মেরিল স্ট্রিপ। বাস্তবতা ও টানটান উত্তেজনা নিয়ে ছবিটি নির্মিত। ছবির কাহিনি ছিল বাস্তবতাকে ঘিরেই।

থেচারের বিপর্যয় শুরু শ্রমিক আন্দোলনে। আর ডালপালার বিকাশ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে। দল ও সরকার থেকে সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগ ও রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা বিপাকে ফেলে থেচারকে। তিনি মনে করতেন সবকিছু সামলাতে পারবেন। তাই তিনি বলেন, ‘আমি লড়াই চালিয়ে যাব। জেতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’ কিন্তু শক্তিশালী দল না থাকলে জটিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় না। থেচারের হয়েছিল তাই। শেষ লড়াই তিনি করতে পারলেন না। পদত্যাগ করেন ’৯০-এর নভেম্বরে। ক্ষমতা ছাড়ার পর তাঁর আক্ষেপ ছিল। সংসদে লড়াইয়ের সুযোগ না দেওয়ার আক্ষেপ। তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘রাজনীতি করলে আপনার পিঠে কেউ ছুরি মারবে এমন ঝুঁকি থাকবেই। কিন্তু এটা আমি কখনো ক্ষমা করব না যে, আমাকে পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিদায় নিতে দেওয়া হয়নি। এ আমি ভুলব না।’ ক্ষমতা হারানোর পর থেচার এমপি ছিলেন আরও দুই বছর। কিন্তু এ লৌহমানবীর শেষ জীবন কেটেছিল অনেকটা নিঃসঙ্গতায়!

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
তিন রোগের সংক্রমণ
তিন রোগের সংক্রমণ
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
নফল ইবাদতের মাস মহররম
নফল ইবাদতের মাস মহররম
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি হারিয়ে অস্বস্তিতে কামিন্স
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি হারিয়ে অস্বস্তিতে কামিন্স

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইম্বলডন শিরোপার দৌড়ে সাবালেঙ্কা
উইম্বলডন শিরোপার দৌড়ে সাবালেঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে মহারাজের অনন্য রেকর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে মহারাজের অনন্য রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বৈঠক
জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বৈঠক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

থমকে গেছে ঋণসহায়তা কমিটির কার্যক্রম
থমকে গেছে ঋণসহায়তা কমিটির কার্যক্রম

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেসি-সুয়ারেজদের উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
মেসি-সুয়ারেজদের উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে : আমীর খসরু
ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে : আমীর খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩১ দফা বাস্তবায়নে খিলক্ষেতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
৩১ দফা বাস্তবায়নে খিলক্ষেতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৪৫ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৪৫ জনের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফের আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান’
‘ফের আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুলাওয়ায়োতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাসে উইলিয়ামস
বুলাওয়ায়োতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাসে উইলিয়ামস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের সেই উপস্থাপিকাকে পুরস্কারে ভূষিত করলেন মাদুরো
ইরানের সেই উপস্থাপিকাকে পুরস্কারে ভূষিত করলেন মাদুরো

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ
নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ
ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারি বৃষ্টিপাতের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভারি বৃষ্টিপাতের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টা শাটডাউনের পর এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার
৪৮ ঘণ্টা শাটডাউনের পর এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'ক্যাটরিনা কখনও আলোচনা করে না', ভিকির কণ্ঠে আক্ষেপ
'ক্যাটরিনা কখনও আলোচনা করে না', ভিকির কণ্ঠে আক্ষেপ

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নড়াইলে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি
নড়াইলে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবার অধিকার রক্ষায় কাজ করবে বিএনপি : তাহসিনা রুশদীর লুনা
সবার অধিকার রক্ষায় কাজ করবে বিএনপি : তাহসিনা রুশদীর লুনা

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির নতুন নির্দেশনা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির নতুন নির্দেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’
ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী
৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমাম-খতিবদের বেতন পে স্কেল অনুযায়ী দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি
ইমাম-খতিবদের বেতন পে স্কেল অনুযায়ী দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার
৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে
দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ নেতার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ নেতার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী
মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র
ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ
সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’
৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'
শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো : মির্জা আব্বাস
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো : মির্জা আব্বাস

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ
আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লার সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কুমিল্লার সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবশেষে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পাচ্ছে বগুড়া পৌরসভা
অবশেষে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পাচ্ছে বগুড়া পৌরসভা

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের
সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ
মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষের নজর ঘোরানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষের নজর ঘোরানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত
শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন
দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর

সম্পাদকীয়

পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন
পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

লুটের টাকায় নতুন ঠিকানায় কামাল
লুটের টাকায় নতুন ঠিকানায় কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস
মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অবশেষে শাটডাউন প্রত্যাহার
অবশেষে শাটডাউন প্রত্যাহার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবন্দরে উপদেষ্টার ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন
বিমানবন্দরে উপদেষ্টার ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট পিছিয়ে তারা জাতির সর্বনাশ করতে চাইছে
ভোট পিছিয়ে তারা জাতির সর্বনাশ করতে চাইছে

প্রথম পৃষ্ঠা

এই দেশটা কি সবার?
এই দেশটা কি সবার?

প্রথম পৃষ্ঠা

৩০০ বছরের সূর্যপুরী
৩০০ বছরের সূর্যপুরী

পেছনের পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা ফেরেনি গণপরিবহনে
শৃঙ্খলা ফেরেনি গণপরিবহনে

পেছনের পৃষ্ঠা

৬০ কোটি টাকা ব্যয়েও বিশুদ্ধ পানি জোটে না পৌরবাসীর
৬০ কোটি টাকা ব্যয়েও বিশুদ্ধ পানি জোটে না পৌরবাসীর

নগর জীবন

পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা ইরানের রয়েছে
পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা ইরানের রয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার করতে না পারলে সংকটে পড়বে বাংলাদেশ
সংস্কার করতে না পারলে সংকটে পড়বে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশ দিবস বাতিল
নতুন বাংলাদেশ দিবস বাতিল

প্রথম পৃষ্ঠা

কী ঘটেছিল মুরাদনগরে
কী ঘটেছিল মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি
৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাত-পা বেঁধে তরুণীকে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
হাত-পা বেঁধে তরুণীকে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

পেছনের পৃষ্ঠা

গোপন ভিডিও ছাড়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
গোপন ভিডিও ছাড়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

দেশগ্রাম

১৫ মিনিটেই মিলছে করোনার রিপোর্ট
১৫ মিনিটেই মিলছে করোনার রিপোর্ট

দেশগ্রাম

ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা
ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা

দেশগ্রাম

যত শুনছেন ততই অবাক হচ্ছেন প্রবাসীরা
যত শুনছেন ততই অবাক হচ্ছেন প্রবাসীরা

মাঠে ময়দানে

ভোলাহাটে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার
ভোলাহাটে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বাহরাইনকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
বাহরাইনকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গু কেড়ে নিল নববধূর প্রাণ
ডেঙ্গু কেড়ে নিল নববধূর প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

নিখোঁজের তিন দিন পর শিক্ষার্থীর লাশ
নিখোঁজের তিন দিন পর শিক্ষার্থীর লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়া প্রেস ক্লাবের কমিটি
বগুড়া প্রেস ক্লাবের কমিটি

দেশগ্রাম

চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম

কৃষকরা পেলেন বীজ-সার
কৃষকরা পেলেন বীজ-সার

দেশগ্রাম