শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২০ আপডেট:

তালেবানি মোল্লাতন্ত্রের হাতে দেশ দেওয়া যাবে না

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
তালেবানি মোল্লাতন্ত্রের হাতে দেশ দেওয়া যাবে না

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনার মতো ভয়াবহ অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এমন এক শান্তিপূর্ণ সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর বিরোধী নই, আমরা সরকারবিরোধী নই বলে অসহ্য রকমের ঔদ্ধত্য আর উগ্র জঙ্গি ও হেফাজত আর কিছু মোল্লাতন্ত্রের ধর্মান্ধ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বেয়াদবির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভুলে গেছে একাত্তরে ইসলামের নামে যুদ্ধের ময়দানে গণহত্যা, গণধর্ষণের ভয়াবহতা দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান কতটা করুণভাবে পরাজিত হয়েছিল। তারা ভুলে গেছে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। এখানে সব ধর্মের নাগরিক তাদের ধর্মচর্চা থেকে সমনাগরিক অধিকার ভোগের অধিকার রাখে। এখানে ইসলামী জলসা, ওয়াজ মাহফিল যেমন হয় তেমনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও তাদের পূজা-পার্বণ মহোৎসব করেন। এখানে জুমার নামাজে যেমন মুসল্লির ঢল নামে তেমনি বাংলা নববর্ষে সকাল থেকে মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষের স্রোতে ভাসে দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ মাথা তুলে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস ছাড়াও  জাতীয় শোক দিবসেও কম মানুষের স্রোত নামেনি। এমন অবস্থায় উগ্র ধর্ম ব্যবসায়ী বাবুনগরী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ছিঁড়ে নামিয়ে ফেলবেন। মামুনুল হক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন বলে যে উগ্র হুঙ্কার দিয়েছেন তা বরদাস্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণ করবেন না। মুখের লাগাম টেনে ধরুন। ধর্ম ব্যবসায়ীরা ’৭১ থেকে পরাজিত। পাক হানাদার বাহিনী যেমন নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি তেমনি তাদের দোসরদেরও নয়। আলেম-ওলামাদের মানুষ সম্মান করলেও যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির পক্ষে ওকালতি, বয়ান, জঙ্গি মিছিল চলবে না। মনে পড়ে মামুনুল হক শাপলা চত্বরে কী বলেছিলেন? আর দিনভর তা-বের পর রাত নামতেই কীভাবে গুটিয়ে পালিয়েছেন। এ দেশে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা উগ্র নাস্তিকদেরও স্থান নেই। এ দেশে শ্রেণিশত্রু খতমের নামে সর্বহারাদের গোপন অস্ত্রের রাজনীতি, উগ্রপন্থি অন্ধকার বিপ্লবীদের কবর রচিত হয়েছে। এখানে একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর জামায়াত ও তাদের সঙ্গীরা অর্থ পেশি ও অস্ত্র শক্তির সঙ্গে বাইরের সমর্থনেও দাঁড়াতে পারেনি জনরোষের বিরুদ্ধে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে জাতি বিজয় এনেছে দীর্ঘ সংগ্রাম আর বহু রক্তে, সেই মহান নায়কের ভাস্কর্য হবে আকাশছোঁয়া। মামুনুল হকরা বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না। রাষ্ট্র ও জনগণ বসে থাকবে না। মোল্লাতন্ত্রের উগ্রতার কাছে বিজয়ী জাতি মাথা নত করবে না। এদের পেছনে যারা ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে বুঝছে না। এ আগুনে নিজেরাও পুড়বেন। মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। মূর্তি বা পৌত্তলিকতা মন্দিরে মন্দিরে থাকে। সেখানে তাদের ধর্মের অনুসারীরা আচার অনুষ্ঠান করেন। পশ্চিমা দুনিয়ায় খ্রিস্টানদের প্রাধান্য থাকলেও বিশাল সুরম্য মসজিদ মন্দির শোভা পায়। ভাস্কর্যতে বীরদের সঙ্গে শিল্পেরও স্থান পায়। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যায়ই বলেছিলেন সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। তার মানে ধর্মের অপব্যাখ্যা ধর্মের নামে সমাজ অশান্তি উগ্রতা নয়। ধর্ম ব্যক্তিগত জীবনে। রাজনৈতিক জীবনের নয়।

যারা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে ব্যঙ্গ করে মূর্তি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন তা মুক্তিযুদ্ধ সংবিধান আইন পরিপন্থী।  আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর হোন। মামুনুল হকের যে ভিডিও দেখেছি প্রতিটা ঔদ্ধত্য মিথ্যা অহংকারে অভিশপ্ত। ইসলামের শেষ নবী আল্লাহর রসুল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর ঠোঁট নাড়ানোর বর্ণনা দেখাচ্ছেন। এটি মহানবীর প্রতি ধৃষ্টতা, অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত। এটা বেয়াদবি। এসব ধর্মের নামে উগ্রবাদী শক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যদিকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার বহন করা সব মত-পথের মানুষকে জনগণকে নিয়ে রুখতে হবে। গণজাগরণ ঘটাতে হবে। যে ঐক্যে সামরিক শাসনের অবসান ঘটেছে। যে ঐক্যে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তিকে রুখে দেওয়া হয়েছে, যে শক্তিতে একাত্তরে বিজয় এসেছে, মানবতাবিরোধী শক্তির ফাঁসি হয়েছে, সেই শক্তির ঐক্য আজ অনিবার্য। রোহিঙ্গা নিয়ে অস্থির অশান্ত পরিস্থিতি জন্ম নিলে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে তালেবানি মোল্লাতন্ত্রের উত্থান ও আগুন জ্বালালে কেবল প্রিয় স্বদেশই রক্তাক্ত হবে না, অশান্ত হবে না, আশপাশের দেশেও আগুনের তাপ লাগবে। আফগানিস্তানের তালেবানিরা একটি দেশের সর্বনাশই করেনি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকেও কলঙ্কিত করেছে। যে উগ্র মোল্লাতন্ত্র একদিন ইসলাম চলে যাচ্ছে বলে ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে এ দেশে মুসলমানদের গণহত্যা করেছে, গণধর্ষণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেনে নিতে পারেনি। তাদের পরিণতিও অভিশপ্ত। তাদের সহচর ও উত্তরসূরিরাই আজ জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবে না বলে ধর্মের নামে উগ্র আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে অশান্ত অস্থির পরিবেশ তৈরির ভয়ংকর খেলা খেলছে।

বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু মুখ খুলেছেন ১৪ দলের হয়ে। ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, তার মতো। মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ কড়া বর্তা দিয়েছেন। এক ছাত্রলীগ নামতেই মামুনুল হকের কণ্ঠ নীরব হয়ে এসেছে। শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে গোলাম আযমকে হারাম করেছিলেন। সারা দেশে রাজনৈতিক শক্তি নেমে গেলে, প্রশাসনিক শক্তি অ্যাকশনে গেলে এদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। এদের পেছনের শক্তিও নাই হয়ে যাবে। এদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে দমন করতেই হবে।

এ শক্তি কখনো মাদ্রাসা মসজিদে শিশুদের অমানবিক নির্যাতন, বলাৎকার ধর্ষণের ঘটনায় আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠলেও প্রতিবাদ করে না। ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে না। মাদ্রাসার ভিতর সংঘটিত বর্বরতার কথা বলে না। ধর্ষকের ফাঁসি চায় না। হেলিকপ্টার, জৌলুসের জীবন, মোটা অঙ্কের নজরানায় ভোগবাদী জীবনে, ধর্মের রাজনীতির বিষ ছড়ায়। শেখ হাসিনা আলেমদের সম্মান করেন, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখেন। তাই বলে তিনি একাত্তরের দানব শক্তি ও তাদের আদর্শের ভাবধারায় সংগঠিত তালেবানি জঙ্গিদের মাথা তুলতে দেবেন না। এরা ভয়ংকর বিষধর কালনাগ। দেশ-ইসলামের শত্রু। মুসল্লিদের দুশমন।

মামুনুল হক এক বক্তৃতায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুুরী মানিক, ড. জাফর ইকবাল ও শাহরিয়ার কবিরকে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন। কেউ সত্যিকারের আলেম হলে তার ভাষায় মানুষকে জাদুর মতো টানেন। যুক্তি-তর্কে ইসলামের প্রচার করেন। আজ আলেম দেখা যায় না। বিদেশি অন্ধকার শক্তির প্রেসক্রিপশনে মামুনুল হকদের কণ্ঠে চরম হিংস্র উগ্রতা দেখা যায়। পাকিস্তানের আজ এখানে দুই ধর্মান্ধ রাজনৈতিক সন্তান। জামায়াত ও হেফাজত। বাংলাদেশে কবি দাউদ হায়দারকে নিজ দেশ ছাড়তে হয়েছিল মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য। তসলিমা নাসরিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করায় তাকে নির্বাসিত-জীবন যাপন করতে হচ্ছে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের চেয়ে এটা যন্ত্রণার, অপমানের। শাস্তি তাকে কতকাল ভোগ করতে হবে কেউ জানে না। তারা মানুষ হত্যা করেনি। হত্যার হুমকি দেয়নি। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে যারা তার মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আজ মামুনুল হকরা যে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, তার সঙ্গে বাবুনগরীসহ যারা বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের আবেগ অনুভূতি চেতনায় আঘাত করছেন। রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এখনো কেন দেশ ছাড়বে না? কেন জেলের ভাত খাবে না। এ দেশে থাকতে হলে মুক্তিযুদ্ধকে মাথার মুকুট হৃদয়ের আবেগ অনুভূতিজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লালন করেই থাকতে হবে। দল যেটি করার করুন। এখানে আপস নেই। বঙ্গবন্ধুর আকাশছোঁয়া ভাস্কর্যই নয়, জাতীয় বীরদের ভাস্কর্যও হবে। এবং মানতে হবে এটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ, তালেবানি মোল্লা ওমরের নয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বীর মুজিবের বাংলাদেশ। ওমর ভাস্কর্য ভাঙার পর পরিণতি কী হয়েছিল? বিশ্বসন্ত্রাসী লাদেনের লাশ কোন সাগরে শেষ?

বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য রয়েছে। রেনেসাঁ এবং আধুনিককালে এর প্রসার হয়েছে ব্যাপকভাবে। তবে আজও দেশে দেশে ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে নিপুণ সৃষ্টিশীলতায়। এর মাধ্যমে ফুটে উঠছে নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার। খোদ সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, ইরান, ইরাকসহ প্রায় সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। ইরানে আছে একটি বিশাল স্বাধীনতা স্তম্ভ, যার নাম ‘আজাদি’। এ স্থাপত্যটির ডিজাইনার হোসেন আমানত একজন মুসলমান। কবি ফেরদৌসি, ওমর খৈয়াম, পারস্যের নেপোলিয়ন বলে খ্যাত নাদির শাহর মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ভাস্কর্য রয়েছে ইরানে। মাশহাদ নগরীতে ভাস্কর্যসংবলিত নাদির শাহর সমাধিসৌধটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

ইরানের রাজধানী তেহরানে দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় সমকালীন ভাস্কর্য প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা। ইরানের মাজানদারান প্রদেশে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় বালির তৈরি ভাস্কর্য প্রদর্শনীর। এটি একটি উৎসব, যার নাম স্যান্ড স্কাল্পচার ফেস্টিভ্যাল। পিরামিডের জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাতি মিসরের। বিরাটত্বের দিক থেকে বিখ্যাত হলো জোসার বা স্টেপ (সোপান) পিরামিড ও গিজা পিরামিড। পাথরের তৈরি স্ফিংসের ভাস্কর্য গির্জা পিরামিড সারা দুনিয়ার পর্যটকদের অতি প্রিয়। শুধু ইসলামপূর্বই নয়, অনেক অনেককাল আগের তথা খ্রিস্টপূর্ব আড়াই হাজার বছর আগের এসব ভাস্কর্য মিসরের মুসলমানরা ধ্বংস করেনি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে মাহমুদ মোখতারের বিখ্যাত ভাস্কর্য ‘ইজিপ্টস রেনেসাঁ’।

ইরাকেও আছে অনেক ভাস্কর্য। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ডানার ভাস্কর্যটি সবার নজর কাড়ে। বাগদাদের পাশে আল-মনসুর শহরে আছে মনসুরের একটি বিশাল ভাস্কর্য। আছে অনেক সাধারণ সৈনিকের ভাস্কর্য। সাদ্দাম হোসেনের বিশাল আকারের ভাস্কর্যটি মার্কিন আগ্রাসনের পর ভেঙে ফেলে সাদ্দামের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, যারা মার্কিন বাহিনীর মদদপুষ্ট। এটা ভাঙা হয় রাজনৈতিক কারণে, ধর্মীয় কারণে নয়।

তাই বলে ভাস্কর্যহীন হয়নি ইরাক। প্রচুর ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যের মালিক দেশটি। রাজধানী বাগদাদে বেশ কিছু বিখ্যাত ভাস্কর্য রয়েছে। সেগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল জোনে হাম্মুরাবির ভাস্কর্য। অ্যাম্বুরাবিদের বিখ্যাত ষষ্ঠ রাজা হাম্মুরাবির খ্রিস্টপূর্ব ১৭৯২ অব্দে ব্যাবিলনের সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ১৭৫০ অব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন। হাম্মুরাবি কোডের জন্য খ্যাতিমান এ রাজা। আরব্য উপন্যাসের রহস্যে এখনো রহস্যময় বাগদাদ শহরের আবু নুয়াস স্ট্রিটে শাহেরজাদি পার্কে রয়েছে আরব্য উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাহেরজাদি এবং রাজা শাহরিয়ারের ভাস্কর্য। বিশ্বজুড়ে আলীবাবার মর্জিনাকে চেনে না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। এ বুদ্ধিমতী বাঁদি মর্জিনার বুদ্ধিতে কুপোকাত হয়েছিল ৪০ চোর। সেই মর্জিনার ভাস্কর্যের দেখা মিলবে বাগদাদে আলীবাবা স্কয়ারে আলীবাবা ফাউন্টেনে।

প্রচ- রক্ষণশীল মুসলিম দেশ সৌদি আরবের বাণিজ্যিক রাজধানী জেদ্দা নগরীতে আছে উটের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য। জেদ্দার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে নগরীতে মুষ্টিবদ্ধ হাত, হাংরি হর্স, মানব চোখ, মরুর বুকে উটের ভাস্কর্য। আফগানিস্তানের জঙ্গিরাও হাত দেয়নি অষ্টম শতকের সমরনায়ক আবু মুসলিম খোরাসানির ভাস্কর্যের গায়ে। গজনিতে এখনো স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে সেই ভাস্কর্য। মুসলিম দার্শনিক ও প ন্ডিত ইবনে সিনার নাম কে না জানে। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে ইবনে সিনার একটি বিশাল ভাস্কর্য আছে। মুসলিমপ্রধান ওই দেশের কোনো নাগরিক তো ভাস্কর্যটির গায়ে আঁচড়ও দেন না।

ইউরোপ ও এশিয়ার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। এককালের সারা মুসলিম জাহানের খলিফার দেশ সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সারা তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্কের রয়েছে অগণিত ভাস্কর্য। একেকটি দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যে একেক রকমভাবে আতাতুর্ক এবং তুরস্কের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিবৃত হয়েছে।

ক্ষমতায় এখন এরদোয়ানের ইসলামী দল। যে রাজনীতি জামায়াত অনুসরণ করে। সেই এরদোয়ানও কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্যে হাত দেওয়ার সাহস পাননি। বিদেশের পর্যটকরাও সেখানে যান। এ দেশে যারা ভাস্কর্যবিরোধী তাদের গ্লানি লজ্জা হিংস্রতা মুক্তিযুদ্ধ ও তার মহানায়ক এবং বীরেরা। এরা তালেবানি মোল্লা ওমরের মতো অন্ধ, অনুসারী।

কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য ছাড়াও তুরস্কের উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো, মর্মর সাগর তীরে পোতাশ্রয়ে অপূর্ব মর্মর ভাস্কর্য, আঙ্কারায় ইনডিপেনডেন্স টাওয়ারের পাদদেশে তুরস্কের জাতীয় সংস্কৃতির ধারক তিন নারী ভাস্কর্য ও আন্তালিয়ায় এডুকেশন অ্যাকটিভিস্ট তুরকান সায়লানের ভাস্কর্য। সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া। সে দেশেরই উত্তর সুলাবেসি দ্বীপের খ্রিস্টান অধ্যুষিত শহর মানাদোতে রয়েছে যিশুখ্রিস্টের এমন একটি ভাস্কর্য, যেটি এশিয়ায় সবচেয়ে উঁচু। ৩২ মিটার উঁচু একটি পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ৩০ মিটার উঁচু ভাস্কর্যটি। এ ভাস্কর্য নিয়ে গা-জ্বালা নেই ইন্দোনেশীয় মুসলমানদের।

পাকিস্তানে রয়েছে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভাস্কর্য; রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য শিল্প। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে ষ-মূর্তি, লাহোরে বাদশাহি মসজিদের পাশে মেরি মাতার ভাস্কর্য, পাঞ্জাবের জং শহরের রাস্তায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়সওয়ারের ভাস্কর্য, লাহোরে ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস প্রাঙ্গণের নানা ভাস্কর্য তো আছেই।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রধর্ম  ইসলাম। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ভাস্কর্য হলো- ওয়াশিংটন মনুমেন্টের আদলে গড়া ন্যাশনাল মনুমেন্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ বীরদের স্মরণে ১৫ মিটারের এ ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করা হয় ১৯৬৩ সালে। প্রতীকীভাবে সাতজন বীরের প্রতিমূর্তির মাধ্যমে বিশ্বস্ততা, আত্মত্যাগ আর বন্ধুত্বের বিষয়টি এ ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার ভাস্কর্য শিল্প সনাতন ও আধুনিক ধারার এক স্বতন্ত্র মেলবন্ধন। মালয়েশিয়ার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো- বাতু কেভসের বিখ্যাত মুরুগান, কুচিং হলিডে ইন হোটেলের সামনে মার্জার এবং কনফুসিয়াসের ভাস্কর্য। দামেস্কের সিটিতলায় মহাবীর সুলতান সালাদিনের ভাস্কর্য শোভা পায়। ইরানের পথে পথে যেমন মনীষীদের তেমনি মুসলিমপ্রধান শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়ার বালির মূল সড়কের পাশে সরস্বতীর ভাস্কর্য পর্যটক টানে। এখানে পুজো হলে মূর্তি বলা যেত। হয়নি, তাই শিল্প। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বুর্জ আল খলিফার বিপরীতে রয়েছে আরব যুগলের ভাস্কর্য। কোন মুসলিম দেশে নেই ভাস্কর্য? ইরানের ধর্মীয় নেতা খোমেনির একাধিক ভাস্কর্য রয়েছে। এখানে একদিন যারা স্লোগান তুলেছিল ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ তাদের প্রেতাত্মা এখন মাঠে নেমেছে। তারা অদৃশ্য শক্তির উসকানিতে মোল্লা ওমরের তালেবানি বিপ্লবের মহড়া দিচ্ছে। এদের মরণদশা হবে। এদের রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। জাতি আর সহ্য করতে রাজি নয়। ওদের গায়ে ফোসকা পড়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। তাই এর বিরুদ্ধে। এ মোল্লাতন্ত্রকে কঠোর হাতে দমন করা না গেলে এ দেশে পর্যটক কোনো দিন আসবে না। বীরত্বের ইতিহাস ও দেশজুড়ে শিল্প শোভা পাবে না। এদের এখনই দমন দরকার।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখায় মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখায় মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

এই মাত্র | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ

২ মিনিট আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের উদ্যোগে বগুড়ায় দিনব্যাপী সেবামূলক মানবিক কর্মসূচি
তারেক রহমানের উদ্যোগে বগুড়ায় দিনব্যাপী সেবামূলক মানবিক কর্মসূচি

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া
জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া

১৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার
৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড
নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৪০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

চাঁদপুরে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১
চাঁদপুরে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলালিংকের নতুন সিএমও কাজী মাহবুব হাসান
বাংলালিংকের নতুন সিএমও কাজী মাহবুব হাসান

৪৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান
খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ স্থগিত করল ইরান
ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ স্থগিত করল ইরান

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ
লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে