রাজধানীর বাসিন্দারা মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এটা প্রাথমিক কান্ডজ্ঞানের কথা যে মশার উপদ্রব বাড়ে তখনই যখন মশক নিধন কার্যক্রম থাকে না। গত বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবের সময় নাগরিকসমাজের প্রবল সমালোচনার চাপে মশক নিধন তৎপরতা শুরু হয়। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। মনে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের টনক শুধু তখনই নড়বে যখন হাজার হাজার মানুষ মশার কামড় খেয়ে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল-ক্লিনিকে উপচে পড়বে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সারা বছর নিয়মিতভাবে মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে গেলে মশার উপদ্রব এমন মাত্রায় বেড়ে ওঠা সম্ভব হতো না। এখন মৌসুম নয় বলে কেউ কোথাও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে না এও সত্য নয়। ঢাকায় মশার উপদ্রব ইতিমধ্যে যা বেড়েছে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বেড়ে যাবে আগামী সপ্তাহ দু-একের মধ্যেই। নগরবাসী মশারি, কয়েল, মশক নিধন স্প্রে, ধূপ, মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট, ইলেকট্রিক আলোর ফাঁদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে মশা থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১০ মাসের মধ্যে জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় মশার ঘনত্ব চার গুণ বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে চলতি মার্চের মধ্যে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে। সাধারণত নর্দমা, ড্রেন, ডোবার বদ্ধ পচা পানিতে জন্ম হয় কিউলেক্স মশা। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ায় প্রকৃতিতে যে মশার ডিম থাকে সেগুলো একযোগে ফুটে যায়। যে কারণে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। নির্দিষ্ট কোনো একটি কীটনাশক একটানা পাঁচ বছরের বেশি ব্যবহার করলে সে কীটনাশকের বিপক্ষে মশার টিকে থাকার শক্তি তৈরি হয়। তাই মশা নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক পরিবর্তনের বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। সারা বছর নিয়মিতভাবে সেগুলো ছিটানো প্রয়োজন।
শিরোনাম
- শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০