ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ শাকের মধ্যে লাল শাক অন্যতম। লাল শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অন্য শাকের তুলনায় বেশি। ১০০ গ্রাম লাল শাকে ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩৭৪ মিলিগ্রাম। যেখানে পুঁই শাকে ১৬৪ মিলিগ্রাম, মুলা শাকে ২৭.৯০ মিলিগ্রাম, পালংশাকে ৭৯ মিলিগ্রাম, ডাঁটা শাকে ৮০ মিলিগ্রাম, বেগুনে ২৬ মিলিগ্রাম, বাঁধাকপিতে ৩০.৫ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়াম বাদে লাল শাকে অন্য যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো শর্করা ৪.৯ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, স্নেহ ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.৬০ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৩ কিলো ক্যালোরি। ক্যালসিয়াম দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি উপাদান বিশেষ করে দাঁত ও হাড় গঠনে। গর্ভবতী এবং প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি প্রায় ১৫০০-২০০০ মিলিগ্রাম। এ সময় ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মা ও শিশুর নানা সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাড়ের গঠন ঠিকমতো হয় না ফলে শিশুর দৈহিক গঠন দুর্বল হয় এবং হাঁটাও বিলম্ব হয়। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লাল শাক খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস ও বয়স্কদের অস্টিওপোরেসিস রোগ হয়।
আফতাব চৌধুরী।
