শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ আপডেট:

জিয়াউর রহমানের সেই উক্তিই সত্য হলো

ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়াউর রহমানের সেই উক্তিই সত্য হলো

১৭ জানুয়ারি, শনিবার, ১৯৮১ সাল, আমার জীবনের একটি অভাবনীয় দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অপেক্ষমাণ বিশাল একটি জাহাজ। জাহাজে ওঠার লাইনের তিন-চতুর্থাংশ পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে জাহাজে উঠতেই নাবিকরা নির্দেশ দিতে থাকল কোন পথে আমাদের জন্য নির্ধারিত কামরাগুলো। দাওয়াত পেয়েছিলাম মেধাবীদের ছাত্র তালিকায়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, সেই সঙ্গে ছাত্রদল থেকে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের প্রথমবারের মতো নির্বাচিত ভিপি। কামরাটি খুঁজে বের করে আমার কাঁধের ব্যাগটি রেখেই প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেখার উদ্দেশ্যে সিঁড়ির কাছে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ পরই আর্মির বিউগলের শব্দ শুনতে পেলাম। চোখে কালো সানগ্লাস, সুদর্শন-স্মার্ট প্রেসিডেন্ট জেটিতে গার্ড অব অনার নিয়ে অন্য একটি পথে লাল গালিচার মধ্য দিয়ে জাহাজে উঠে গেলেন।

রাজকীয় এক হুইসেলের মধ্য দিয়ে জাহাজটি আস্তে আস্তে যাত্রা করল। তখন প্রায় দুপুর ২টা। ধীরগতিতে খরস্রোতা সমুদ্র মোহনার কর্ণফুলী নদী দিয়ে ‘হিজবুল বাহার’ এগিয়ে চলছে। একটু দূরেই দেখতে পেলাম কয়েকটি গানবোট। দুটি জাহাজের পেছনে এবং দুটি জাহাজের সামনে, সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে চলছে। কিছু দূর যাওয়ার পরই কর্ণফুলীর ডান তীরে সুসজ্জিত মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা, নৌবাহিনীর সৈনিকরা উচ্চৈঃস্বরে বিউগল বাজিয়ে লাল-সবুজের পতাকাবাহী জাহাজে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে সামরিক কায়দায় সম্মান জানায়। উজ্জ্বল সূর্যের বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি শান্ত শীতল নীল জলরাশির ওপর এক অপরূপ জলকেলি করছিল। দেখতে না দেখতেই বিকাল গড়িয়ে সূর্যাস্তের সময় হলো। কী সুন্দর এ পৃথিবী, বিশাল জলরাশির মধ্যে লাল জ্বলন্ত সূর্যটি অগ্নিকুন্ডের মতো আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছিল। রক্তিম মায়াবী আভা এসে ঠিকরে পড়ছিল জাহাজের ডেকে। আমি একা নই, এ দেশের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিমনা সব শ্রেণি থেকে ২ হাজারের ওপর অতিথি নিয়ে তিনি এ শিক্ষা সফরে বের হন। মূলত হিজবুল বাহারে হাজীরা সৌদি আরব যেতেন পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা যাতায়াত করত। এর পরও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বিরাট অঙ্কের লোকসান গুনতে হতো।

সেই কখন যে খেয়েছি তা ভুলেই গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ডাইনিংরুমে সারিবদ্ধভাবে স্ন্যাকস রাখা হয়েছিল, সেদিকে কারও নজর ছিল না। সন্ধ্যা ৭টায় জাহাজের তৃতীয় তলার পেছনের দিকে সুইমিং পুলের পাশে সবাই জমায়েত হন। আমরা সবাই বসে আছি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। হঠাৎ দেখতে পেলাম নিরাপত্তারক্ষীদের কর্ডন ভেদ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এগিয়ে আসছেন। পাশে উপবিষ্ট বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির সামনে মাইকটি এগিয়ে দিলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বভাবসুলভ সৌজন্য প্রকাশ করে তাঁর চশমাঢাকা চোখ দুটি দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবলোকন করলেন। বললেন, ‘শোনো ছেলেমেয়েরা! আমি তোমাদের বাংলাদেশের ডাঙা থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের মধ্যখানে নিয়ে এসেছি।’ একটু আবেগময় কণ্ঠে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্য শুরু করলেন, মুহূর্তের মধ্যে সব ফিসফাস স্তব্ধ হয়ে গেল। বন্ধ হলো না সাগরের তরঙ্গের উচ্ছ্বাস, জাহাজের পেছন দিক হওয়ায় ইঞ্জিনের ধাতব গিগি শব্দ ভেসে আসছে। তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘সমুদ্র হলো অন্তহীন পানির বিস্তার ও উদ্দাম বাতাসের লীলাক্ষেত্র। এখানে এলে মানুষের হৃদয় একই সঙ্গে উদার, উদ্যমী ও সাহসী হয়ে ওঠে। তোমাদের আমার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সংকীর্ণতা ও কূপমন্ডূতাকে পরিহার করে সমুদ্রের মতো উদার ও ঝড়ো হাওয়ার মতো সাহসী হতে হবে। আমি তোমাদের কাছে এখন যে কথা বলব তা আমাদের জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক তাগিদ। এ তাগিদকে স্মরণীয় করার জন্য আমি একটা পরিবেশ খুঁজছিলাম। হঠাৎ বঙ্গোপসাগরের কথা মনে পড়ল। এ উপসাগরেই রয়েছে ১০ কোটি মানুষের উদরপূর্তির জন্য প্রয়োজনেরও অতিরিক্ত আহার্য ও মূলভূমি ভেঙে আসা বিপুল পলিমাটির বিশাল দ্বীপদেশ যা আগামী দুই-তিন প্রজন্মের মধ্যেই ভেসে উঠবে। যা বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুন বিন্দু সংযোজনের তাগিদ দেবে। মনে রেখ, আমাদের বর্তমান দরিদ্রতা, ক্ষুধা ও অসহায়তা আমাদের উদ্যমহীনতারই আল্লাহ-প্রদত্ত শাস্তিমাত্র। এর জন্য অন্যের চেয়ে আমরাই দায়ী বেশি। আমাদের ভিটাভাঙা পলি যেখানেই জমুক তা তালপট্টি কিংবা নিঝুমদ্বীপ এ মাটি আমাদের। ১০ কোটি মানুষ সাহসী হলে আমাদের মাটি ও সমুদ্র-তরঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্রকারী নিশান উড়িয়ে পাড়ি জমাতে জাহাজ ভাসাবে না। মনে রেখ, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা ১০ কোটি মানুষ যথেষ্ট সাহসী নই বলে শত্রুরা, পররাজ্য লোলুপ রাক্ষসেরা আমাদের পূর্বপুরুষদের এ স্বাধীন জলাধিকারে আনাগোনা শুরু করেছে। তোমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেমেয়ে, দেশের দরিদ্র পিতা-মাতার সর্বশেষ আশার প্রাণকণা, যাদের ওপর ভরসা করে আছে সারা দেশ, সারা জাতি। তোমরাই হলে বাংলাদেশের হাজার বছরের পরাধীনতার কলঙ্ক মোচনকারী প্রত্যাশার আনন্দ-নিঃশ্বাস। ইতিহাসের ধারায় দৃষ্টিপাত করলেও তোমরা জানবে এ সমুদ্র ছিল আমাদের আদিমতম পূর্বপুরুষদের নৌশক্তির স্বাধীন বিচরণভূমি। এমনকি বৌদ্ধ যুগে পাল রাজাদের অদম্য রণপোতগুলো এ জলাধিকারে কাউকেই অনধিকার প্রবেশ করতে দেয়নি। সন্দেহ নেই, আমাদের সেই পূর্বপুরুষগণ ছিলেন যথার্থই শৌর্যবীর্যের অধিকারী। তখন আমাদের সেসব পূর্বপুরুষ ছিলেন নগণ্য। কিন্তু আমরা সারাটা উপমহাদেশ, সমুদ্রমেখলা দ্বীপগুলো আর আসমুদ্র হিমাচল শাসন করেছি। বল, করিনি কি?’

তিনি আরও বললেন, ‘আমাদের রয়েছে যোজন যোজন উর্বরা জমি। একটু আয়েশের ফলেই ফসলে ঘর ভরে যেতে পারে। অর্থের অভাবে শুধু কোনো বৈজ্ঞানিক চাষের উদ্যম নেওয়া যাচ্ছে না। কে আমাদের বিনা স্বার্থে এ উদ্যমে সহায়তা করবে? কেউ করবে না। অথচ যে সম্পদের বিনিময়ে অর্থের প্রাচুর্য ঘটে তা আমাদের দেশের পেটের ভিতরেই জমা আছে। আমরা তুলতে পারছি না।’ তিনি তখন বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের রয়েছে সাত রাজার ধন- তেল, গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর আরও অনেক কিছু। আমরা তো আমাদের গ্যাস মাত্র খানিকটা তুলেছি, তিতাস, বাখরাবাদের মতো অসংখ্য গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্র দরকার।’ তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে আরও বললেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ পাশে দন্ডায়মান এডিসিকে তেলের শিশিটি দিতে বললেন। আমরা সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়ে রইলাম। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে শান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আমার জীবনকালে সম্ভবপর না হলে তোমরা আমার ছেলেমেয়েরা, এই তেল তুলবে।’ তিনি আরও বললেন, ‘শোনো ছেলেমেয়েরা! আমি তোমাদের সান্নিধ্য পেয়ে খুবই খুশি। তিনটি দিন ও তিনটি রাত আমরা এ দরিয়ায় নোনা বাতাসে দম ফেলতে এসেছি। এখন এ জাহাজটিই হলো বাংলাদেশ। আর আমি হলাম তোমাদের ক্যাপ্টেন।’ সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো রাষ্ট্রপতির কথা শুনছিলাম। সবার চোখে মনে হচ্ছিল কী যেন বিশাল প্রাপ্তির তৃপ্ত চাউনি। আমরা শুধু জাহাজের ওপর আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউগুলোর শব্দই শুনতে পাচ্ছিলাম। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট...’ গাইতে শুরু করলেন। প্রথম রাত এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে জাহাজের বাংকারের বিছানায় নিশ্চিন্ত মনে গভীর সুখনিদ্রায় পার করলাম।

‘সকাল সাড়ে ৭টায় নাশতা সেরে জাহাজের ডেকের ওপরে গিয়ে দেখি পাশে আরেকটি ছোট জাহাজ আটকানো আছে আমাদের এ বিশাল জাহাজটির সঙ্গে। সেই জাহাজটিতে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা এসেছিলেন আমাদের এ সমুদ্রসীমার ভিতরে যে অমূল্য জীববৈচিত্র্যসম্পন্ন সম্পদ রয়েছে তার প্রতিপাদন দেখাতে। ঠিক তেমনিভাবে আরেকটি জাহাজে ভূতত্ত্ববিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রপতিকে তাদের আহরিত খনিজ সম্পদের প্রতিপাদন দেখালেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সীমানা, খনিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও সমুদ্রগহ্বরে অবারিত জলজ ও ঔষধী উদ্ভিদ সম্পদ একের পর এক দেখালেন।

দ্বিতীয় দিন দুপুরে ওপরে তাকিয়ে দেখলাম বিমানবাহিনীর জেট বিমানগুলো কীভাবে আকাশ পাহারা দেয় সেই মহড়া। সেই সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ ‘ওমর ফারুক’ থেকে বিমানবিধ্বংসী কামান গর্জে উঠল। বিকালবেলায় আবারও যুদ্ধজাহাজ থেকে কীভাবে টর্পেডো ছুড়ে সাবমেরিন ধ্বংস করে সে মহড়াও দেখানো হলো।

বিকালে ডেকের ওপরে তাঁর সঙ্গে আমরা কয়েকজন ছাত্র কথা বলতেই তিনি বললেন, পত্রিকা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নৌবিহারে যাওয়ার সমালোচনা করেছে। তিনি বললেন, ‘সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে দেখ, দিগন্ত মেলে কত দূরে এ আকাশটি মিলে গেছে পানির সঙ্গে, তোমাদের মনটিকে এ বিশাল সমুদ্রের মতো আকাশসমান উচ্চতা নিয়ে বড় করতে হবে।’

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগমুহূর্তে আজ সবাই রুম থেকে বেরিয়ে এলেন সমুদ্রবক্ষে সূর্যাস্ত দেখার জন্য। যখন চারদিকে আঁধার নেমে এলো, সংকেত পেয়ে সবাই উঠে এলাম জাহাজের ছাদে। বিচ্ছুরিত হলো বিশাল এক আলোর কুন্ডলী আকাশে, গিয়ে পড়ল বহুদূরে। আমরা শুধু শুনতে পেলাম গানবোট থেকে বিকট গুলির শব্দ। এ ছাড়া অ্যান্টিএয়ারক্রাফট, যুদ্ধবিমান এফ-৬, মিগ-২১-এর নানারকম কসরত যেমন নাইট ফ্লেয়ার, স্মোক ডিসপ্লে ইত্যাদি চলছিল। আকাশে বিমানবাহিনীর মহড়া, পাশাপাশি সমুদ্রে নৌমহড়া। প্রাণজুড়ে আমরা সবাই দেখলাম।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাহাজে অবস্থানরত প্রত্যেক শ্রেণি, পেশা, গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পৃথকভাবে সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের সময়ে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করলেন। আমরা শিক্ষার্থীদের সৌভাগ্য হয়েছিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৈশভোজ করার। প্রতিদিন রাতে সব অতিথির সঙ্গে আলাপচারিতা শেষ করে হিজবুল বাহারে তিনি তাঁর রাষ্ট্রপতির ভ্রাম্যমাণ কার্যালয়ে বসে রাষ্ট্রপতির দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন করতেন। শুনেছিলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লোকসান গোনা হিজবুল বাহার হস্তান্তর করেছিলেন নৌবাহিনীতে।

তৃতীয় দিনের প্রত্যুষে সূর্য ওঠার আগে কোনো একসময় রাষ্ট্রপতি আবার চলে এলেন আমাদের হাতছানি দিয়ে তাঁর কর্মব্যস্ততার জীবনে। আমাদের জাহাজখানি সুন্দরবন, হিরণ পয়েন্ট হয়ে গভীর সমুদ্রে যায়। ফেরার সময় দিগন্তহীন সমুদ্রের দিকে আনমনে তাকিয়েছিলাম আর ভাবছিলাম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা। আমি রাষ্ট্রপতির কথা বলার সময় মাঝেমধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। মনে হচ্ছিল, আমারা সবাই যেন রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সেই সাত রাজার ধন পেয়েছি। মনে হচ্ছিল, আল্লাহ বোধহয় তাঁর অবারিত সব অমূল্য সম্পদ আমাদের দিয়েছেন। মনে মনে সেদিন আল্লাহর কাছ দোয়া করেছিলাম তিনি যেন আমাদের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দীর্ঘজীবী করেন। নিজেকে বাংলা মায়ের সন্তান হিসেবে গর্বিত বোধ করছিলাম। কী নেই আমাদের এ দেশে। মনে হলো কবির দুটি পঙ্ক্তি- ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি’।

একজন সৈনিকের জীবনে সবচেয়ে মহান ব্রত হলো দেশমাতৃকার সেবায় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রিয় দেশকে স্বাধীন করে তাঁর সামরিক জীবন সার্থক করেছেন। ১৯৭১ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন মেজর হিসেবে সেনাবাহিনীর আইনকানুন উপেক্ষা করে নির্ঘাত কোর্ট মার্শাল হবে জেনেও তিনি বলেছিলেন, উই রিভোল্ট। জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি এমন ঘোষণা দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। একজন সামরিক অফিসারের আজীবন স্বপ্নের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন সেনাপ্রধান।

তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা, দার্শনিক চিন্তাভাবনা তাঁকে সুদূরপ্রসারী চিন্তাবিদ বানিয়েছিল। যা আমরা সাধারণত দেখতে পাই জামাল আবদেল নাসের, ফিদেল কাস্ত্রো, দানিয়েল ওর্তেগা, মার্শাল টিটো, কামাল পাশা প্রমুখ রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে। তাঁর চিন্তাভাবনার প্রসারতা ও গভীরতার ভিত্তি এত শক্ত ছিল যে, তিনি ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-কালভেদে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার মূলমন্ত্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হয়েছিলেন। আমরা দেখেছি ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো দর্শনভিত্তিক হয়নি বলে এভারেস্টচুম্বী জনপ্রিয় হয়েও অনেক দল বরফগলা পানির মতো বিলীন হয়ে গেছে।

নবীন ছাত্র হিসেবে যে বক্তব্য শুনেছিলাম রাষ্ট্রপতি জিয়ার কণ্ঠে, জলে ভাসা আমাদের ভিটেমাটি ওই বঙ্গোপসাগরের আঙিনায় গিয়ে বিন্দু বিন্দু করে জমে আমাদের ভৌগোলিক সীমানার পরিবর্তন আনবে। তাই তো আমরা আজ পেয়েছি নিঝুমদ্বীপ। ব্রিটিশ নাগরিক র‌্যাডক্লিভের অঙ্কিত সীমানা হাড়িয়াভাঙা নদীর পাড়ে বঙ্গোপসাগরে ভেসে ওঠা তালপট্টি হবে আমাদের আস্তানা। রাষ্ট্রপতি জিয়া বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে আছে অমূল্য সম্পদ- তেল, গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর’ ইত্যাদি। হিজবুল বাহারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার সময়ে যদি এ মহামূল্যবান খনিজ সম্পদ উত্তোলন না-ও করতে পারি, তোমরা তা করবে।’

আজ ৩০ মে, ২০২১ সাল, জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে মনে করিয়ে দেয় ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে হিজবুল বাহারে তাঁর অমর উক্তিগুলো। আজ আমরা সত্যিই ঐতিহাসিকভাবে দৃশ্যমান প্রমাণ পেয়েছি, দক্ষিণবঙ্গে সব মিলিয়ে ২০২১ সালে দেশের ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে ২৫০ বর্গকিলোমিটার। শহীদ জিয়া আরও দেখিয়েছিলেন, সমুদ্রবক্ষ থেকে আহরিত খনিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও সমুদ্রগহ্বরে অবারিত জলজ ও ওষুধি উদ্ভিদ সম্পদ। যাকে আজকের দিনে বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) যে ধারণাটি দিয়েছিলেন অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ১৯৯৪ সালে। আর ২০১৪ সালে এসে আজকের বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমির কথা বলছে। যা বলে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান আজ থেকে ৪০ বছর আগে। তাহলে শহীদ জিয়ার উক্তিই আজ সত্য হলো।

লেখক : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান, এডুকেশন রিফর্ম ইনেশিয়েটিভ (ইআরআই)।

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংযোগ
গ্যাসসংযোগ
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
নিরাপদ খাদ্য-পানীয় ওষুধ নাগরিকের মৌলিক অধিকার
নিরাপদ খাদ্য-পানীয় ওষুধ নাগরিকের মৌলিক অধিকার
মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার
মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার
ভিন্নমত দমন
ভিন্নমত দমন
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
বিনিয়োগে মন্দাবস্থা
বিনিয়োগে মন্দাবস্থা
ইসলাম ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতি গুরুত্ব দেয়
ইসলাম ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতি গুরুত্ব দেয়
বরফের রাজ্য আলাস্কা
বরফের রাজ্য আলাস্কা
ড. ইউনূস এখন কী করবেন
ড. ইউনূস এখন কী করবেন
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
সর্বশেষ খবর
৪০ মিনিট অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখল সিন্ডিকেট, প্রাণ গেল নবজাতকের
৪০ মিনিট অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখল সিন্ডিকেট, প্রাণ গেল নবজাতকের

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান ও চীনের মতো ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ
পাকিস্তান ও চীনের মতো ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়া : ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক
খালেদা জিয়া : ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক

১৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এলো ১০০ টন পেঁয়াজ
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এলো ১০০ টন পেঁয়াজ

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপকূলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উপকূলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আজ
আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আজ

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন বিজয়
নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন বিজয়

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা
ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতে ‘মেঘ বিস্ফোরণে’ নিহত বেড়ে ৪৬
ভারতে ‘মেঘ বিস্ফোরণে’ নিহত বেড়ে ৪৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো ১৪ দিন
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো ১৪ দিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান শাহিনসের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল
পাকিস্তান শাহিনসের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩২, অপুষ্টিতে আরো ৪ মৃত্যু
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩২, অপুষ্টিতে আরো ৪ মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ১০ দিনেই ১ লাখ ই-রিটার্ন দাখিল
প্রথম ১০ দিনেই ১ লাখ ই-রিটার্ন দাখিল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ আগস্ট)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহানবী (সা.) যেসব কথা বলতে নিষেধ করেছেন
মহানবী (সা.) যেসব কথা বলতে নিষেধ করেছেন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও কাঁকড়াসহ আটক ৮
সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও কাঁকড়াসহ আটক ৮

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩৫টি হাতবোমা
শরীয়তপুরে পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩৫টি হাতবোমা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখলো চালক সিন্ডিকেট, ভেতরে নবজাতকের মৃত্যু
অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখলো চালক সিন্ডিকেট, ভেতরে নবজাতকের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

'প্রিজন সেলে অবহেলায় আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু হয়'
'প্রিজন সেলে অবহেলায় আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু হয়'

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, কষ্ট বেড়েছে মানুষের
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, কষ্ট বেড়েছে মানুষের

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার
লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারী উন্নয়ন শক্তির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নারী উন্নয়ন শক্তির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার
জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডিএমপির সব থানায় অনলাইন জিডি চালু
ডিএমপির সব থানায় অনলাইন জিডি চালু

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জেনেভায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে বৈশ্বিক চুক্তি অনিশ্চিত
জেনেভায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে বৈশ্বিক চুক্তি অনিশ্চিত

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নাটোরে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর
নাটোরে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কমনওয়েলথ স্কলারদের অভিজ্ঞতা বিনিময়
উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কমনওয়েলথ স্কলারদের অভিজ্ঞতা বিনিময়

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর
সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর

২১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ল ৫০ শতাংশ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ল ৫০ শতাংশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় লেখা হয় আইন মন্ত্রণালয়ে: হুম্মাম
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় লেখা হয় আইন মন্ত্রণালয়ে: হুম্মাম

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার
টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী
৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক
যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন
চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার
জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে
এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন
নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম
প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা
৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার
লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ১৫ কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ১৫ কারখানা ছুটি ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুলিশের সামনে অস্ত্র বের করলে গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
পুলিশের সামনে অস্ত্র বের করলে গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি রবিবার
সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি রবিবার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ
এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীল নদ থেকে ফোরাত : আরব বিশ্বের জন্য হুমকি নেতানিয়াহুর যে সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন
নীল নদ থেকে ফোরাত : আরব বিশ্বের জন্য হুমকি নেতানিয়াহুর যে সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড, ভীষণ চাপে অর্থনীতি
ভারতে বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড, ভীষণ চাপে অর্থনীতি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না : জামায়াতের নায়েবে আমির
আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না : জামায়াতের নায়েবে আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সত্যিই কি ফিলিস্তিনিদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র’ দেশে পাঠাতে চায় ইসরায়েল
সত্যিই কি ফিলিস্তিনিদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র’ দেশে পাঠাতে চায় ইসরায়েল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দুদকের
মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দুদকের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইলস্টোন ট্রাজেডি: শিক্ষিকা মাহফুজাও মারা গেছেন
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: শিক্ষিকা মাহফুজাও মারা গেছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজার দুর্দান্ত গোলের পরও লিস্টারের বিদায়
হামজার দুর্দান্ত গোলের পরও লিস্টারের বিদায়

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
কী থাকছে ভোটের রোডম্যাপে
কী থাকছে ভোটের রোডম্যাপে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাদাপাথরের কেরামতি
সাদাপাথরের কেরামতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এক বছরে দেড় লাখ ফোনকল রেকর্ড
এক বছরে দেড় লাখ ফোনকল রেকর্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে লড়তে চান তিন নেতা জামায়াত খেলাফতের প্রার্থী চূড়ান্ত
বিএনপি থেকে লড়তে চান তিন নেতা জামায়াত খেলাফতের প্রার্থী চূড়ান্ত

নগর জীবন

‘ত্রিরত্নে’র বিদেশে সম্পদের পাহাড়
‘ত্রিরত্নে’র বিদেশে সম্পদের পাহাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘাম ঝরাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে
ঘাম ঝরাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কর্মচারীদের ধাওয়া হাসপাতাল ত্যাগ অনশনকারীদের
কর্মচারীদের ধাওয়া হাসপাতাল ত্যাগ অনশনকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

বাড়ছেই নদনদীর পানি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা
বাড়ছেই নদনদীর পানি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া
সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুটবলে মেয়েদের চোখ আরেক ট্রফিতে
ফুটবলে মেয়েদের চোখ আরেক ট্রফিতে

মাঠে ময়দানে

রেকর্ড আমদানি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ
রেকর্ড আমদানি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘উইশ কার্ড’
আজ ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘উইশ কার্ড’

শোবিজ

ফেক ফেসবুক আইডিতে বিব্রত তারকারা
ফেক ফেসবুক আইডিতে বিব্রত তারকারা

শোবিজ

কিংসের শক্তি বেড়েছে কমেছে মোহামেডানের
কিংসের শক্তি বেড়েছে কমেছে মোহামেডানের

মাঠে ময়দানে

প্লাস্টিকদূষণ চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
প্লাস্টিকদূষণ চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ
খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

২৬ বছর পর ক্যামেরার সামনে চিত্রনায়িকা শবনম
২৬ বছর পর ক্যামেরার সামনে চিত্রনায়িকা শবনম

শোবিজ

অবশেষে ফিরছেন তুষি
অবশেষে ফিরছেন তুষি

শোবিজ

কক্সবাজারকাণ্ডে উত্তপ্ত এনসিপির সাধারণ সভা
কক্সবাজারকাণ্ডে উত্তপ্ত এনসিপির সাধারণ সভা

প্রথম পৃষ্ঠা

হারে শুরু সোহানদের
হারে শুরু সোহানদের

মাঠে ময়দানে

বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা হবে
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা হবে

নগর জীবন

রাষ্ট্রপতির শপথ নিয়ে সাত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
রাষ্ট্রপতির শপথ নিয়ে সাত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই অপুর স্ত্রী যা বললেন
সেই অপুর স্ত্রী যা বললেন

প্রথম পৃষ্ঠা

যুবাদের ইংল্যান্ড সফরের সূচি ঘোষণা
যুবাদের ইংল্যান্ড সফরের সূচি ঘোষণা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের দুটি বাড়ির খোঁজ
যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের দুটি বাড়ির খোঁজ

প্রথম পৃষ্ঠা

৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় একজন গ্রেপ্তার
৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় একজন গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

টটেনহ্যামকে কাঁদিয়ে শিরোপা পিএসজির
টটেনহ্যামকে কাঁদিয়ে শিরোপা পিএসজির

মাঠে ময়দানে

আজ ১৫ আগস্ট
আজ ১৫ আগস্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা জড়িত কি না স্পষ্ট হওয়া দরকার
উপদেষ্টা জড়িত কি না স্পষ্ট হওয়া দরকার

প্রথম পৃষ্ঠা